সোহেল রানা সোহাগঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১ মাস ধরে মাদ্রাসার ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়।
বুধবার বিকেলে সান্দুরিয়া গ্রামের নিখোঁজ ছেলের খালা রেখা খাতুন উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এসে বলেন, আমার ছোট বোনের ছেলে লিখন আহমেদ লিমন (১১) , পিতা: রাজু আহমেদ, মাতা: লাবনি আকতারের ছেলে কে আমি লালন পালন করি।
প্রায় দেড় বছর আগে চলনবিল মাকড়শোন কওমী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার জন্য ভর্তি করেদেই।
সর্বশেষ ১ মাস আগে মাদ্রাসায় গিয়ে খরচের টাকা দিয়ে খোঁজ খবর দেখা করে আসি। ৪দিন আগে আমার এক আত্মীয়’র বিয়েতে আসার জন্য মাদ্রাসার হুজুর মাওঃ আশরাফ আলীকে ফোন দিয়ে ভাগ্নেকে আসতে বলতে চাইলে হুজুর জানান লিখন তো এখানে নাই সে তো বাড়িতে গেছে।
পরে লিখন কে দেখার জন্য মাদ্রাসায় ছুটে গেলে হুজুর বলে সে ১ মাস আগে চলে গেছে। হতাশ হয়ে তার খালা এখন সিকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেন। ঘটনাটি জানা জানির ৫ দিন ধরে খোজা খুজির পর যখন তার সন্ধ্যান মিলছে না তখন সন্তানের কাতরে তার খালা পাগলের মতো খুঁজছে।
ছেলেটির গায়ের রং স্যামলা উজ্জল। সে কথা বলার সময় একটু হালকা ভাবে তোতলায় কথা বলে। তার খালা আরও বলেন লিখনের বাবা একজন প্রতিবন্ধী মানুষ। কাজ কর্ম করতে পারে না। মা পেটের দায়ে বিদেশ পারি দিছেন। এতিম ছেলের দিকে তাকিয়ে আমি তাকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার জন্য দিয়েছিলাম কিন্তু সেই ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিনা কি জবাব দিবো আমি তার মা’র কাছে।চলনবিল মাকড়শোন কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষক (হুজুর) মাওঃ আশরাফ আলীকে বলেন, ১ মাস আগে লিমন মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
আমি বিষয়টি তার খালা কে তখনি ফোন করে জানিয়েছি। এখন ১ মাস পর এসে তার খালা লিমনের খোঁজ করছেন। এ মতবস্থায় যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি উক্ত এতিম ও অসহায় ছেলেটির সন্ধান পেয়ে থাকেন, তাহলে নিম্নের ফোন নাম্বারে ০১৭০৬৭১২৩১৭, ০১৭৮৮৮৮৯১৩১ এ যোগাযোগ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হচ্ছে।