রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর থেকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপদের কর্মচারীরা। এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে মহানগরীর রেলগেট হতে পবা উপজেলার নওহাটা ব্রিজ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। তিন দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। রাজশাহী সড়ক ও জনপথ এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এসময় উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন,সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল ও রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, একনেক অনুমোদিত এই সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের পর বর্তমানের ৩০ ফুট প্রশস্ত এই রাস্তাটি ৮০ ফুটে উন্নীত করা হবে। রাস্তার দুই পাশে ডিভাইডারসহ ১০ ফুট চওড়া ফুটপাত ও রাস্তার দক্ষিণ পাশে সাড়ে সাত ফুট ড্রেন করা হবে। অভিযানের শুরুতেই রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া আম চত্বরে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটক ও সামনের সীমানা প্রাচীর এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী দল বিমানবন্দর সড়ক অভিমুখে অগ্রসর হয়। বর্তমানে উচ্ছেদ অভিযান কারী দলটি বিমানবন্দর থানার অদূরে অবস্থান করছে। এরইমধ্যে নওদাপাড়া আম চত্বর থেকে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ও দোকানপাটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল জানান, একমাস আগে এই সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়া একাধিকবার বিষয়টি জানিয়ে মাইকিং করা হয়। এরপরও যারা এই সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নি আজ তাদের সেইসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিন দিন (২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর) এই সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি। অভিযানে থাকা রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা বলেন, মহানগরীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে নওহাটা ব্রিজ পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিন কামারুজ্জামান চত্বর থেকে অভিযান শুরুর কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আম চত্বর থেকে অভিযান শুরু করা হয়। তারা এখান থেকে নহাটা ব্রিজ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবেন। এরপর থেকে আবারও কামারুজ্জামান চত্বর থেকে অভিযান শুরু লাভ হবে।