মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারে পাক হানাদার মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে সকাল ১০ ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ ও পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্য্র হতে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়াম বিজয় র্যালী ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১সালের এই দিনে শসস্ত্র সংগ্রাম করে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতারিত করে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। এর আগে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে ও পাক-বাহিনীর নির্যাতনে শহীদ হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী নারী-পুরুষ। নিজেদের ইজ্জত হারিয়ে ছিলেন অনেক মা-বোন। নির্যাতন আর নিপিড়নের স্থানগুলো আজও রাজ স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে জেলাবাসীর কাছে। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা ’৭১-এর দিনগুলো ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। যারা ভেতরে ছিলেন তাদের প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে মৃত্যুভয় নিয়ে। পথে পথে ছিল শত্রুদের বিছানো কাঁটা। রাতে থাকতে হয়েছে মাটির বাংকারে। কাছের মানুষকে বিশ্বাস করতেও ভয় হয়েছিল অনেকের। সবাইকে থাকতে হয়েছে বিভীষিকাময় অন্ধকারে কিংবা বাংকারে নয়তো বাঁশঝাড়ের ভেতর অন্ধকারে গিয়ে শুনতে হয়েছিল স্বাধীন বাংলা বেতারের খবর। ৭১ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ৭ডিসেন্বর পর্যন্ত পাকিস্থান পাক হানাদার বাহিনী মৌলভীবাজারে হত্যা করেছিল অগনিত নীরপরাধ মানুষকে। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অপারেশনে বহুমূখী দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৭ডিসেম্বর পাক বাহিনী মৌলভীবাজার থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন আর তর-তাজা প্রানের বিনিময়ে মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়েছিল। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন সময়ে মৌলভীবাজার মহকুমা কার্যালয় (বর্তমান জর্জ কোট) প্রাঙ্গনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ছিলেন আনুষ্টানিক ভাবে। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার সাধরন মানুষের দাবী, দেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকবাহিনীর নির্যাতনের স্বাক্ষী হয়ে আছে এ জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের এতিহাস ঐহিত্য। অনেক বধ্যভূমি রয়েছে যা এখনো সনাক্ত করা হয়নি। বধ্যভূমি,গণহত্যার স্থান সংস্কার ও সংরক্ষন সহ যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা যথাযথ মর্যাদা পাবে এটা এ জেলা বাসীর দাবী। ২৮ নভেম্বর থেকে ৭১সালে মহান মুক্তিযোদ্ধে গেরীলা যুদ্ধ চলে । পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন স্থান মুক্ত করে ৭ ডিসেম্বর রাতে মুক্ত হয় মৌলভীবাজার। জেলায় পাকিস্তানীরা নির্মম তান্ডবলীলা চালালে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্ত অবস্থান থাকায় পাকিস্তানীবাহীনি পরাজিত হয়। যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন স্বাধীনতার আজ এত বছর পরও এসব কাংকিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবন যাপন করছে আজও। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও যারা বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সু-দৃষ্টি প্রয়োজন। দেশের বীর সন্তানদের যথাযথ মর্যাদা ও গনগবরগুলোকে সংরক্ষন এবং আগামী প্রজন্মকে সটিক ইতিহাস জানাতে জোর দাবী জানান নতুন প্রজন্ম ও মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাদের পরিবার।