অবশেষে ফরিদপুরে টিকা নিলেন মেয়র ও ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি
সারাদেশে গতকাল রবিবার করোনা ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অথবা স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কিন্তু পাবনার ফরিদপুরে এদিন নির্ধারিত সময়ে কেউ টিকা নেয়নি। তাই উপজেলায় করোনা ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে পৌনে তিনটার পরেও টিকা দিতে নিবন্ধন ধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু কেউ টিকা নিতে আসেনি। পরে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে পৌর মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ টিকা নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমদ ও ২ জন নার্স টিকা নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক মীর।

জানা যায়, করোনা ভাইরাস টিকাদানের জন্য ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর গত শনিবারের মধ্যে তিনটি টিকাদান কক্ষ প্রস্তুত করা সহ সকল আয়োজন সম্পন্ন করে। রবিবার সকাল পর্যন্ত টিকা নিতে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ উপজেলার প্রায় ২০০ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। সারাদেশের ন্যায় রবিবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে কাকে টিকা দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তা ঠিক করেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। এতেই ঘটে যায় মহাবিপত্তি। নিবন্ধিত ব্যক্তিরা টিকা নিতে অনাগ্রহ দেখানোয় এদিন দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরাও টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করতে না পেরে মহা বিপাকে পড়েন উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। টিকাদানের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে নিরুপায় হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক মীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে দুপুর সোয়া তিনটার দিকে পৌর মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহম্মদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে টিকা নিয়ে ফরিদপুরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স অজয় কুমার ও আব্দুল হাই টিকা নেন।

ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক মীর বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য অনেকেই নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের অনীহা এবং কিছু বিশেষ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। পরে পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিকা নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি নিবন্ধিত তালিকার সঠিক সংখ্যাও বলতে পারেননি।