মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ সাড়া দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ ৭ ফেব্রুয়ারী। সকাল সোয়া ১১টায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর সংসদ সদস্য একটি বুথে নিজে প্রথম টিকা গ্রহন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: পার্থ সারথী দত্ত কাননগো, প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ সালাম, সহকারি পরিচালক ডাঃ বিনেন্দু ভৌমিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ ফয়সল জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমানন্ডার জামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার চেম্বারের সাবেক সভাপতি ডাঃ এম আহাদ সহ স্ব্যাস্থ্যকর্মী শিক্ষক, নার্সসহ সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধারা। সর্বশেষ হিসেব মতে জেলায় করোনা টিকা গ্রহন করতে নিবন্ধন করেছেন ৫হাজার ৭শত ৫৪ জন। আজ জেলায় সব মিলিয়ে টিকা নিবেন ৮১৬জন। এরমধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে টিকা গ্রহন করবেন ২৯৭ জন, রাজনগরে ৫০জন, কুলাউড়ায় ৩৯ জন, বড়লেখা-১০০জন, শ্রীমঙ্গলে ২০০জন, জুড়ী ৩০ জন এবং কমলগঞ্জ ১০০জন। করোনা টিকা প্রদানের জন্য সদর হাসপাতালে ৮টি বুথ ও প্রতিটি উপজেলায় থাকবে ৩টি করে বুথ খোলা হয়েছে। সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ টিকা গ্রহন শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এই টিকা অন্যান্য টিকার মতই,আমি ২৫ মিনিট হয়েছে টিকা দিয়েছি, এখন পর্যন্ত কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত নাগরিকদের আহবান করছি দেশ, সমাজ ও জনগণের স্বার্থে সবাই যেন নির্ভয়ে করোনার টিকা নেন। সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান মানুষের কিছু অজানা আতঙ্ক কাটার জন্য আমি নিজে সহ স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার পৌর মেয়র প্রেসক্লাব সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সংস্কৃতি কর্মী, স্ব্যাস্থ্যকর্মী, শিক্ষকগন টিকা নেই। এদিকে কনোনার টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আগেই প্রস্তুত করা হয় মোট ৮টি বুথ। সেখানে রবিবার থেকে শুরু হয়ে চলতি মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১২ দিন চলবে টিকাদান ও রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম। প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১২শ জন ব্যক্তিকে টিকা দিতে পারবেন তারা। তবে সেক্ষেত্রে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। অপরদিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১৬জন স্বাস্থ্য কর্মীর পাশাপাশি ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী দ্বায়িত্ব পালন করছেন বলে কতৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন । গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে জেলার ৬টি উপজেলায় করোনা টিকা ও সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রথম ধাপে জেলায় ৬০ হাজার ডোজ করোনা টিকা এসেছে। আর এডি সিরিঞ্জ এসেছে ৬৪ হাজার ৮শতটি। প্রথম পর্যায়ে ৩০ হাজার মানুষকে এ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে।