রাজনগরে লাঘাটা নদী খননে অনিয়ম দূর্নীতি , স্বপ্নের বাড়ী নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার পথে

রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের লাঘাটা নদী খননে অনিয়ম দূনীতির অভিযোগ উঠেছে। অপরিকল্পিত ভাবে নদী খননের নামে আইওয়াস করতে গিয়ে প্রায় ৬ শতাধিক বাড়ি-ঘর, মসজিদ ভেংঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পথে। এমন কি তেঘরি, কড়াইয়া,দক্ষিন করাইয়াসহ লাঘাটার ডাইকের সাথে সংযুক্ত পশ্চান্দন পুর,ইসলাম পুর, গবিন্দ পুর,জাংগালি, আদম পুর, খাস প্রেম নগরের ১০/১৫ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তাটিও ভেংঙ্গে লাগাটা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। গত দুই ফ্রেব্রæয়ারী এলাকার ২ শতাধিক পরিবারের লোক লাগাটা নদীর অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন। প্রতিবাদ সভায় সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মনাফ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম, মওলানা সৈইদুর রহমান, মওলানা সরফ উদ্দিন, মোস্তফা মিয়া, আব্দুল মজিদ প্রমূখ। বক্তারা দাবী করেন, লাগাটা নদীর পশ্চিম পাড়ের ডাইকটি ১৫ থেকে ২০ ফুট প্রস্থ ছিল। এই ডাইকের কারনে উপরোল্লেখিত কয়েকটি গ্রাম সহ কড়াইয়া হাওরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেত। এই কড়াইয়া হাওরের হাজার হাজার মন ধান উৎপাদন হয়। গত ২০২০ সালে পানিউন্নয়ন বোর্ড লাগাটা নদী পূর্ণ খননের কাজ শুরু করে। সাড়ে ৬ কোটি টাকার অধিক টাকা বেয়ে শুরু করা হয় নদী খননের কাজ। কিন্তু নদীর তলদেশ খনন না করে নদীর বস্তি জমিও নদীর ডাইক কেটে মাটি কোথায়ও নদীর ভিতরে আবার কোথায়ও ডাইকের উপরে ফেলা হচ্ছে। ফলে ডাইকের প্রস্থ ৩ ফুট থেকে ৫ ফুট হয়ে গেছে। এই কড়াইয়া হাওরের আর্শিবাদ লাগাটা ডাইক এখন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ডাইকের উপর দিয়ে চলতে গেলে এখন বাঁশের সাকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। যে ডাইকটি ১৯৮৪ সনের স্বরণ কালের ভয়াবহ বন্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে সে ডাইকটি আগামী বর্ষার পানি প্রতিরোধ করতে পারবেনা বলে স্থানীয় লোক জন জানান । এ কাজের ফলে কমলগঞ্জ উপজেলার পতন ঊষা ও রহিমপুর ইউনিয়ন এফেক্ট হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজনগর উপজেলার তেঘরি গ্রামের প্রবাসী আমির আলীর স্ত্রী জানান- প্রবাসীর স্বামীর জীবনের অর্জিত টাকা দিয়ে একটি বাড়ী-ঘর নির্মাণ করে ছিলেন। অপরিকল্পিত নদী খননের কারণে তার সেই স্বপ্নের বাড়ী নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার পথে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান- প্রথম থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পানিউন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে বার বার অবহিত করলেও কোন পদক্ষেপ নেননি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এ ব্যপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।