মহা-বিশ্বের গভীরেই রং-বেরংয়ের চেতনা


আমি যখন মহাশূন্য ও মহা-সমগ্রের দিকে তাকালাম তত্ত্বজ্ঞানে,
দেখলাম ধ্বংস ও মৃত্যুর গভীরেই জীবনের গোপন স্পন্দন!
নব নব প্রাণের জাগরণ পুণজাগরণ ও পুণচেতনার ধ্বনি!
আমি যখন পৃথিবী থেকে মহাবিশ্বের দিকে তাকালাম তৃতীয় নয়নে,
দেখলাম মহাশূন্যের গভীরে কোন রং নেই শুধু শূন্য আর শূন্য,
আমি যখন রাত্রির অন্ধকার গভীরের দিকে তাকালাম স্মরণে,
দেখলাম মহাত্মার গভীরেই ঐশ্বরিক জ্যোতির্ময় প্রেমের চেতনা!
তাঁর সৃষ্টি থেকেই যেন সূর্য দিনকে দিচ্ছে বৈচিত্র্যময় ও নতুন জীবন,
আর প্রজ্ঞা ও জ্ঞান সময়কে দিচ্ছে রংয়ের মিষ্টি সৌন্দর্য আভরণ।
আঁধারের গুণাগুণে চাঁদ তারকা ধুমকেতু ও গ্রহগুলোর প্রেরণায়,
মহাবিশ্ব মিট-মিট আলোয় জ্বালছে রংয়ের চঞ্চল চৈতন্য খেলায়!
কখনো তপস্যায় তপস্যায় জীবন মহান রবের প্রেমে মগ্ন হচ্ছে বিভোর!
আমি যখন সেই মহান রাহমানের দিকে তাকালাম মহাত্মার নূর!
তখন উচ্চ জ্ঞানের জগতে দেখলাম তোমার প্রেম সমগ্ৰে শুধুই স্মরণ,
আর আত্মবিভোরে দেখলাম তোমার মহাচেতনার গৌরব সম্মান!
তারপর তোমার ভালোবাসার গোপন উদ্যানে দেখলাম,
বৈচিত্র্যময় রংয়ের বিচ্ছেদ ও বিরহের অমৃত সুধা প্রেম!
আমি যখন সমুদ্র ও নদীর দিকে তাকালাম অন্তর নয়নে-
দেখলাম তাঁরও কোন রং নেই,শুধুই রংহীন,
ধূঁ-ধূঁ বহুদূর সরোবর সুশান্ত প্রেমের জীবন!
কখনো হঠাৎ বিস্ময় দেখি ও শুনি,
সময়ের নিয়মে সমুদ্র আর নদীর ভয়ংকর গর্জন ধ্বনি!
কতো হারিকেন টাইফোন ও সাইক্লোনের ঘূর্ণঝড় তাণ্ডব ফণী।
জলোশ্বাসে লণ্ড ভণ্ড ধ্বংস মৃত্যু ও করুন বেদনার বিচ্ছেদ রংয়ে প্রাণগুলো মলিন!
আমি যখন মৃত্তিকা অরণ্য ও প্রকৃতির দিকে তাকালাম,
দেখলাম ধূঁ-ধূঁ আর খাঁ-খাঁ শূন্য মাঠ বালুচর উত্তাপ কর্ম কাম,
অবাক বিস্ময় ও চলমান সময়ের বর্ষণে দেখলাম নব নব সজিব অঙ্কুরিত প্রাণ!
আলোর তাপে বেড়ে উঠছে চারাগাছ রূপান্তরে বৃক্ষ লাল নীল,
সবুজ হলুদ সাদা ও রংয়ের বাহারে কালো!
কখনো বিচিত্র রংয়ে ফোটা ফুল ও ফল,
শাখা প্রশাখার মাথায় যৌবনের রসদ বিরল।
মহারংয়ের মহা-উৎসবে ভরপুর হয়ে উঠেছে,
মৃত্তিকা মাঠ বনানী ও প্রকৃতির প্রান্তরে দীর্ঘ জীবন অশেষ।
কখনো তোমার ঐশ্বরিক বার্তা মহৎ নারী ও পুরুষের রূপ ধারণ করে
সৃষ্টির গুণাগুণের সাথে মিশে হয় বিদগ্ধ প্রেম নূরে বিভোর।
তাইতো বলি আর দেখি এতো রং কোথা থেকে আসে ও যায়!
এ-কি তবে তোমার পরমসত্তা ও মহাত্মার মহাচৈতন্য জ্ঞান বিস্ময়!
তোমার ভেতরেই কি তবে রং-বেরংয়ের মহা-উৎসব ধ্বনি উদয়।
একত্ববাদ মহা-চৈতন্যের রহস্যভেদই কি
তোমার সহজ সরল মহাজ্ঞানের অবয়ব সুরত অবাক!
ভেদে লুকানো ও তত্ত্বজ্ঞানে মারফত দ্বীন নির্বাক।
যার গভীরেই মহৎ কবি ও মুমিনরা বেঁচে থাকে কল্যাণ সেবায়,
জীবনও রংহীন আবার মৃত্যুও রংহীন আজব বিস্ময়,
তবু ফুলের সৌরভে মানব যৌবনে আনে অনাদি চির-বসন্তকাল,
আমি ফিরে যেতে চাই আর মিশে যেতে চাই তোমার প্রেমময় অনন্তকালে।
রংহীন ভালোবাসার অনাদি অক্ষয়,
আর ঐশ্বরিক ও জ্যোতির্ময় নূরের আলোকিত ঠিকানায়।