বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে ফিরে আসা


অনেক যুগ ও সময় পারি দিয়ে এই নিরব প্রান্তরে,বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এসেছি দাঁড়িয়েছি আবার।এই স্মৃতিময় মতিহার চত্বরের সবুজ গাছগুলোর নিচে প্রেম ও প্রীতিতে,এক সময় তুমি তাজা ফুলের গুচ্ছ নিয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করতে,মধুময় জীবন ও ভালোবাসার মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে গোপনে।আমি রেললাইনের পাশদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতাম তোমার স্মরণে,আর প্রবল টানে ছুটে যেতাম তোমার কাছে বিদগ্ধ নয়নে।একই পথে বাউলরা গান গেয়ে হেঁটে যেত মরমী সুরে,তখন তুমি হতে একতার,আমি এক তরুণ বাউল পুরে!দিওয়ানা গানের ধ্বনিতে হৃদয় জেগে উঠতো ঐশ্বরিক নূরে!ভালোবাসার প্রাণ যেন নিরবে নিরবে ডাকতো আকুল পরাণে। সেই গাছগুলোর ছায়ার নিচে সবুজ ঘাসগুলো আজও বিরহে কাঁদে ভালোবাসার চরণে!আর শুধু চেয়ে থাকে ব্যথিত,তুমি নেই আমি নেই অতীত যেন বহুদূরে।ভেবেছিলাম বহুবছর পরে তুমি হয়তো এই মিলন উৎসবে ফিরে আসবে সংস্কারে-আমি চতুর্দিক দৃষ্টি ভেদ করে তাকালাম নিরব ও চঞ্চল সময়ের দিকে,কিন্তু তুমি নেই শুধু ধূঁ-ধূঁ শূন্যতা মনে হলো বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় আমি একাই নির্বাক।মনে হলো উদাস কবি আমি ক্রমাগত খুঁজছি তোমাকে বেদনার স্মৃতিতে-এক সময় তুমি ছিলে ওই নীল আকাশের বিশাল সবুজের সংগ্ৰামী যুদ্ধো প্রগতি।আমি ছিলাম উড়ন্ত পাখি ডানা দুটি তোমার বুকে মেলে বিপ্লবের দ্যুতি!স্বপ্নের মিলন আনন্দ স্পর্শে আমরা উড়ে যেতাম নদী অরণ্য দূর অভিসারে মধুমতি।নৈঃশব্দের আাকাশ থেকে পৃথিবীকে আলিঙ্গন করতাম ভালোবেসে সুগতি।কতো জন্ম পূনজন্ম কতো পুষ্প আপুষ্পক বৃক্ষের দেহেরঙিন টিয়াপাখিগুলো বসে বসে গান গাইতো সুর ও  লহড়ি ধ্বনিতে।ক্ষুধিত যৌবন আর অতৃপ্ত বাসনার বিরহ প্রেম ও মোহে,কিন্ত আমরা সুন্দরের ধ্যানে মগ্ন থাকতাম দিওয়ানা দূর গ্ৰহে।নিস্তব্ধ মৃত্তিকার বুক থেকে নির্মল হাওয়া এসেআমাদের ভালোবাসার দুটি চোখকে আাশা দিতো অশেষ পুনরায় বিপ্লব সংস্কার ও বিজয়ের বার্তা নিয়ে বিশেষ।হয়তো আমরা দুজন আবার ফিরে আসবো নতুন করেএই খানে,এই বিশ্ববিদ্যালয় স্মৃতিভরা পুকুর পাড়ে,গাছের নিচে,অথবা ক্যাম্পাসের নীড়ে!এই মসৃণ আকাশ,এই চঞ্চল দিগন্ত আর এই সুন্দরের আলোতে-মতিহার চত্বর ঘিরে ফুলগুলো ফুটবে সৌরভে জ্যোতিতে!অবাধ উন্মুক্ত বাতাস প্রশান্তির ছায়া দেবে আমাদের হৃদয়  ও শরীরে।আমরা আবার ফিরে ফিরে দেখবো এই মাতৃভূমির স্নেহ মমতার নীড়,আমরা আবার ফিরে ফিরে দেখবো এই আর্দশ পৃথিবীর সভ্যতা ও মানবতার ভীর।কখনো বর্ষার বৃষ্টিতে কখনো সূর্য রাঙা প্রথম কিরণে।দুজন ভিজে ভিজে হেঁটে যাবো নতুন সোনালী রৌদ্রের সংস্কার আভরণে!অপরূপ ইন্দ্রধনু চেতনার রঙে কবির বাঁশীতে সুর ও গান উঠবে দিওয়ানা প্রেমে,মহৎ ভালোবাসার সেবা কল্যাণ আর মানবতার চৈতন্যে সুন্দর বন্টন সাম্য কর্মে।অথচ তুমি ফিরে এলে না,তুমি ফিরে এলে না,প্রিয় সখি,আমি ব্যথিত ফিরে যাচ্ছি স্মৃতিগুলো বিরহের কাছে লিপিবদ্ধ রাখে।বহুবছর পরে হয়তো তুমি এসে একদিন দেখবে বিচ্ছেদর করুন যন্ত্রণায়,আমাদের সেই হারানো জীবনের ব্যথাভরা অমর ইতিহাসে এখনো অক্ষয়, আর স্মৃতিগুলো পড়ে আছে জীবন্ত সজিব অমৃত সুধায় ।