হানিমুনের পর দেশে ফিরে চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ও তার স্বামী বাড্ডা থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা করেছেন।
যৌতুক, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত ৫ ডিসেম্বর মামলা করেছেন তমা। অন্যদিকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৬ ডিসেম্বর মামলা করেন এই অভিনেত্রীর স্বামী হিশাম চিশতী।
কয়েক সপ্তাহ আগে দুবাইয়ে তমা মির্জা ও তার কানাডাপ্রবাসী ব্যবসায়ী হিশাম চিশতী দুবাইয়ে হানিমুন করতে যান। সেখানকার বেশ কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
জানা গেছে, দেশে ফেরার পর থেকে তাদের সম্পর্কে অবনতি হয়। গত ৫ ডিসেম্বর রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়।
এরপরই তমা তার স্বামীর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় নারী নির্যাতন মামলা ও সাইবার অপরাধ আইনের আওতায় মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি স্বামী হিশাম চিশতী।
এ বিষয়ে তমামির্জা বলেন, বিয়ের পর থেকে তাকে হিশাম বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মারধর করতো। আর অকারণে গায়ে হাত তুলতেন। এমনকি ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে মানহানিকর কথাবার্তা বলতেন।
তিনি বলেন, হিশাম আমার বাবা-মাকে ভয়ভীতি দেখান এবং হত্যার হুমকি দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি প্রকাশের ভয়ভীতি দেখান।
অন্যদিকে তমা মির্জার মামলার পর স্বামী হিশাম চিশতী এই নায়িকাসহ তার শ্বশুর–শাশুড়ি এবং ড্রাইভারের নামে মামলা করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থাকা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ হাসান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার কারণে আমরা মোবাইল জব্দ করে ফরেনসিকে পাঠিয়েছি।
মামলা হয়েছে দুইটা। একটি করেছেন তমা মির্জার স্বামী হিশাম চিশতি। আর অন্যটি তমা মির্জা করেছেন তার স্বামীর বিরুদ্ধে। পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে এম বি মানিক পরিচালিত ‘বলো না তুমি আমার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ ঘটে তমা মির্জার। ‘২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতিকে বিয়ে করেন তমা মির্জা