ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদী উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের অবৈধ ৫২টি ইটভাটা ও প্রাইভেট কোচিং বন্ধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এসব ইটভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এদের নেই কোন অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এমনকি লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নেই। খাস জমিতে গড়ে উঠা এসব ইটভাটায় মাটি, বালি কিছুই কিনতে হচ্ছে না। সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স কিছুই দেয় না ভাটার মালিকরা। ফ্রিতেই বছরের পর বছর পরিবশে দুষণ করে অবাধে এই ইটভাটা গুলো পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ, লক্ষীকুন্ডা ইউপি’র চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ আরো অনেকেই সভায় ইট ভাটার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি এম ইমরুল কায়েস সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি। বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব ও থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, লক্ষীকুন্ডার চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ, সাঁড়ার চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম আক্তার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি জোমসেদ আলী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভুপতি কুমার বর্মন প্রমূখ।
সভায় করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহার, সিএনজি’র ভাড়া হ্রাস, মাদক, বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি স্থাপন ও জালসার বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।