নাসিম উদ্দীন নাসিম
নাটোরের সিংড়ায় রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নাটোর – বগুড়া মহাসড়কের পাশে জামতলী তে বিরাট চারার হাট সবার নজর কাড়ছে। এ হাট থেকে উপজেলার উদ্বৃত্ত চারা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।ভাদ্রের শেষে বৃষ্টিতে জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধান রোপনে ব্যস্ত সিংড়া এবং চলনবিলের কৃষকরা।
প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের প্রথম থেকে রোপা আমন ধানের চাষ শুরু হলেও এ বছর মৌসুমের দু’ দফা বন্যা হওয়ার কারনে ধান চাষের পূর্বপস্তুতি হিসেবে ঠিকমত বীজতলা তৈরী করতে পারেন নাই চলনবিলের কৃষকরা।
ফলে এবছর রোপা আমন চাষে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিংড়া উপজেলার কৃষকরা।’
প্রাকৃতিক বন্যার কারনে ধানের চারার ক্ষতি হওয়ায় বিপাকে পরেছিলেন অনেক কৃষক। তবে সংকট মোকাবেলায় কেউ কেউ উচু এলাকায় চারা রোপন করেছিলন। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছেন কৃষকরা। তবে ধানের চারা নিয়ে ব্যবসায়ীরা পরেছেন হতাশায়।
অতিরিক্ত লাভের আশায় বেশী দাম দিয়ে বীজতলা তৈরির জায়গা নিয়ে কপাল পুরেছে ব্যাবসায়ীদের। উপজেলার জামতলী হাটে ধানের চারা বিক্রয় করছেন এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজন।
ব্যাবসায়ীরা বলছেন এ বছর অনেক লোকসান হচ্ছে। আগে আমরা প্রতি পন চারা ৭০০/৮০০ টাকা বিক্রয় করতাম। এবছর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০/৬০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ট্রাকে করে চারা নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন হাটে লক্ষ লক্ষ চারা ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, এবছর সিংড়া উপজেলায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন শেষ পর্যায় রয়েছে। ইতোমধ্য ৯৫% চারা রোপন সমাপ্ত।
তিনি আরো বলেন, প্রনোদনার অংশ হিসেবে ভাম্যমান ১৩ টি বীজের চারা দেয়া হয়েছিলো। সেগুলো রোপন শেষ হয়েছে। উপজেলার জামতলীতে চারার জমজমাট হাট বসছে। বিভিন্ন জেলার কৃষকরা সেখান থেকে এসে বীজ সংগ্রহ করছে। এসব চারার বীজ উদ্বৃত্ত হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে।