নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের তেবাড়িয়া হাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মেম্বারের ২টি বাড়ি হামলা ও দুইটি মটর সাইকেল ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার বিকেলে সকালে শহরতলীর তেবাড়িয়া হাটে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাটোর ওসি জাঙ্গাঙ্গীর আলম জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।তিনি বলেন, সংঘর্ষের সময় কিছু বাড়ি ঘর ও মটার সাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।ঘটনাস্থল থেবে আলীগ নেতা নাজমুলের অনুসারী বলে পরিচিত তেবাড়িয়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহেল ,মিজানুর রহমানের ছেলে নোহান,মৃত নাজমুল সরকারের পুত্র নয়ন ও হুগোলবাড়িয়া এলাকার বাবুল প্রামালিকের ছেলে রতনকে আটক করেছে পুলিশ । এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নাটোর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মেম্বারের ছেলেদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার তেবাড়িয়া হাটের ছাগল হাটায় বাবুল মেম্বারের ছেলে সুজন খাজনা আদায়কালে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল তাকে মারপিট করে । পরে নাজমুল সমর্থকদের সঙ্গে বিতন্ডায় জড়ান সুজন । এ ঘটনায় নাজমুল হোসেনের সমর্থকরা বাবুল মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় আহত হোন আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল প্রামাণিক (৬৫), তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগম (৫০) , পুত্রবধু পুরনি বেগম (২২) , কেয়া বেগম (২১) , ছেলে সুজন প্রামাণিক (২৮) ও বাসার কেয়ারটেকার আনোয়ার (৫০) । আহতদের চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয় । পরে নাটোর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুলের নেতূত্বে ৪০/৫০ জন হামলাকারীরা আমাদের বাসঅয় প্রবেশ করে হামলা এবং ভাংচুর করে । আমাদের না পেয়ে আমার অসুস্থ বাবা,মাসহ বাসার মহিলাদের মারপিট করে । আমার বাসায় তারা লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকা র্স্বণালংকার নিয়ে চলে যায় ।
নাজমুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রবিবার বিকেলে প্রতিপক্ষ বাবুল মেম্বারের ছেলে সুজন আমাকে মারধর করে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় । এতে আমার আমার আত্মীয় স্বজনরা ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের সমর্থকরা পাল্টা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, এ সময় বাড়ি ঘরে হামলা বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা