হাতীবান্ধায় মামলা তুলে নিতে বাদীর ভাইকে ছুরিঘাত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় বাদির ভাই মুকুল দাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিঘাত করেছে প্রধান আসামী সাদ্দাম হোসেন। গুরতর আহত মুকুল দাশ বর্তমানে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্ষতস্থানে ৯টি সেলাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো পরিবারটি
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
গুরতর আহত মুকুল দাশ উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী মাঝিপাড়া এলাকার সুরেন্দ্র নাথ দাশ। এছাড়া মুকুল ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের আনসার ভিডিপি কমান্ডার।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার উত্তর জাওরানী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৪০), মৃত ঘিনা রাম চন্দ্র দাসের ছেলে রাম কৃষœ চন্দ্র দাস ও সুবল চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস (২৩)।
জানাগেছে, গত ১৭ জুন দুপুরে মুকুল দাশের ভাতিজি মল্লিকা রানী ক্যালকুলেটর ও খাতা কিনতে জাওরানী বাজারে যায়। এ সময় ফুপাতো ভাই দিপকের সাথে দেখা হলে তার সাথে কথা বলে বাড়িতে ফিরে আসে। এদিকে মল্লিকার সাথে কথা বলায় দিপককে অভিযুক্ত সাদ্দাম, রাম কৃষœ চন্দ্র ও সুমন চন্দ্র মারধর করেন। পরে অভিযুক্তরা দিপক ও মল্লিকাকে নিয়ে নানা রকম অশ্লীল কথা ছড়িয়ে বেড়ায়।
মল্লিকা এসব মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে আতœহত্যা করেন। এ ঘটনায় মল্লিকার বাবা সুধীর চন্দ্র দাস ৩জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। সেই মামলায় ২২ জুলাই রাতে রাম কৃষœ চন্দ্র দাসকে আটককরে জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ। আর সুমন চন্দ্র দাস আদালতে আতœসমার্পণ করেন।
বর্তমানে সুমন চন্দ্র দাস ও রাম কৃষœ চন্দ্র দাস জমিনে রয়েছেন। আর মামলার প্রধান আসামী সাদ্দাম হোসেন এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। মামলাটিকে কেন্দ্র করে সাদ্দাম হোসেন বুধবার দুপুরে মল্লিকা রানীর চাচা মুকুল দাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিঘাত করে। গুরতর আহত মুকুল দাশ বর্তমানে হাতীবান্ধা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্ষতস্থানে ৯টি সেলাই করা হয়েছে।
মৃত মল্লিকা রানী দাস উপজেলার উত্তর জাওরানী এলাকার সুধীর চন্দ্র দাসের মেয়ে। এছাড়া উপজেলার দক্ষিন জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে আহত মুকুল দাশ বলেন, মামলা তুলে নিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলেন আভিযুক্তরা। আজ সাদ্দাম হোসেন অতর্কিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে ছুরি মারে। আমি স্থানীয়দের সাহায্যে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই।
এ বিষয়ে মল্লিকার বাবা সুধীর চন্দ্র দাস জানান, মামলা করার পর থেকে আসামীরা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আজ আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিমারে। আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘বিষয়টি আবগত আছি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে’।