যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ নানা ধরনের ভয়ংকর সব প্রতারণা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যা। বদলাচ্ছে প্রতারণার ধরন। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল ফোনে ওতপেতে থাকা প্রতারকরা নানা কৌশলে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করছে মানুষকে। যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন লম্পট স্বামী মোঃ আব্দুল কাইযুম। এ ঘটনায় লম্পট স্বামীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্র খোলার হিরামতি গ্রামে। সে আব্দুল খালিকের পুত্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে কমলঞ্জ থানায় লম্পট স্বামী আব্দুল কাইয়ুমসহ জড়িত অন্যান্যদের আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘঠনায় পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। একই উপজেলার গুলের হাওর এলাকার ছলিম মিয়ার কন্যা ভুক্তভোগী স্ত্রী শামছুন্নাহার জানান- করোনা মহামারিকালীন সময়ে নিকট আন্তীয় উত্তরভাগ এলাকার আরফুল বিবির মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে কলেজ ছাত্রী শামছুন্নাহারকে গত ০৫/০৩/২০২০ বিবাহ করেন ( বালাম নং- ২,পৃষ্টা নং- ৪৮/২০২০ইং) আব্দুল কাইযুম। বিবাহের সময় প্রয়োজনীয় মালামাল, স্বর্ণ দেন শামছুন্নাহার এর পরিবার। বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই সে নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকে। প্রথমে তার বিশেষ প্রয়োজন দেখিয়ে স্বর্ণ বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে আমেরিকা যাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে ৮ লক্ষ টাকা দাবী করেন। অপরদিকে স্ত্রীকে উলঙ্গ করে অশ্লীল ভিডিও তৈরী করে নগ্ন করে ছবিও তোলেন। তাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছিল। তারপর স্ত্রীর পরিবার ও তার নিকট আন্তীয়দের মোবাইল, ইমু, ওয়ার্টঅ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেগুলো প্রকাশ করে দেন লম্পট স্বামী। এ ব্যপারে এলাকার সমাজসেবক মোঃ আব্দাল হোসেন বলেন- আমেরিকা যাবার কথা বলে পরিবারের কাছে ৮ লক্ষ টাকা দাবী করে প্রতারক স্বামী। মেয়ের বাবার বাড়ী বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তার এমন অন্যায় দাবী না মানায় মেয়ে অশ্রীল ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেয়। আমরা তার উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি। এলাকার সাইফুর রহমান, মোঃ সাহেদ আলী ও বিবাহের সময় কথিত উকিল বাপ খায়রুল ইসলাম একই ভাবে এহেন জগন্য ঘঠনায় বহুনারীতে আসক্ত প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম এর দৃষ্টান্তমূল শাস্তি দাবী করেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার এসআই শহিদ ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।