লালমনিরহাট প্রতিনিধি। চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সর্বনাশা তিস্তা নদীর বন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে শত শত একর জমির রোপা আমন ধান ক্ষেত পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে, হতাশা গ্রস্থ্য কৃষক কুল। উত্তর অঞ্চলের অত্র জেলার মানুষ মঙ্গা,খরা,নদীভাঙ্গা,এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের সুদের কিস্তির টাকা সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব। এরই মধ্যে বর্ষা মৌসুমে বেঁচে থাকার তাগিদে বছরের পেটের ভাতের জোগান দেওয়ার জন্য বুকভরা আশা নিয়ে কেউ কেউ কিস্তির টাকা নিয়ে রোপা আমন ধান লাগায় কিন্তু বুকভরা আশার গুড়েবালি ঢালে সর্বনাশা বন্যা। বিশেষ করে নদীভাঙ্গা ৬টি ইউনিয়নের রোপা আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উজানের পানি নেমে গেলেও সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত পানির কারনে পঁচে নষ্ট হওয়া ক্ষেতগুলোতে নতুন করে রোপা আমন ধান ক্ষেত রোপন করতে গেলে বীজতলার প্রয়োজন কিন্তু অত্র হাতীবান্ধা উপজেলায় কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান কৃষক কুল। তাতে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২ শত একর জমির সম্প্রতি লাগানো রোপা আমন ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। সরজমিনে গত বুধবার উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় এলাকায় ঘুরে তিস্তা নদীর বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সম্প্রতি বন্যায় সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিংগীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি এই ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২ শত একর জমির সম্প্রতি লাগানো রোপা আমন ধান ক্ষেত পঁচে নষ্ট হয়েছে। গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় এলাকার ছানোয়ার, শাহজামাল ও শুকুর আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন, বুকভরা আশা নিয়ে কিস্তির টাকা দিয়ে রোপা আমন ধান লাগাই কিন্তু বুকভরা আশার গুড়েবালি ঢালে সর্বনাশা তিস্তা নদীর বন্যা। বর্তমানে পুনরায় আমন ধানক্ষেত রোপন করতে চাই কিন্তু চলতি মৌসুমের ধানক্ষেত রোপনের শেষ সময় হওয়ায় কোথাও বীজতলার খবর পাওয়া যাচ্ছেনা। অপরদিকে সিন্দুর্না ইউনিয়নের আইয়ুব আলী ও আলী হোসেন বলেন, সর্বনাষা তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে প্রায় সব জায়গা জমিন হারিয়ে এনজিও থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে বর্গাজমিনে আমন ধান লাগিয়ে ছিলাম সে সম্বলটুকু হারিয়ে এখন আমরা পথে বসেছি। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার হারুনর রশিদ বলেন, ১ দশমিক ১ হেক্টর জমিতে কৃষি অফিস কৃর্তক আপতকালীন বীজতলা তৈরী করেছি, এখনও বিতরন শুরু হয়নি। যদি কোন কৃষকের রোপা আমন ধানের বীজ তলার প্রয়োজন হয় তাহলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে আমার যতটুকু পারি ধানের চারা দিয়ে সহযোগিতা করব।