গোলাপগঞ্জে আমুড়া ইউনিয়নের মাখড়িবিলের সুইসগেইট খুলে জলমহাল ইজারাদার ও কৃষকদের ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমানের কাছে মাখড়ি বিল জলমহাল ইজারাদার কালিজুরী ছত্রিশ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সেক্রেটারি মুহিব উদ্দিন ও মাকড়ি বিলের ভুক্তভোগী কৃষকরা পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিলে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শণে আসে উপজেলা কৃষি অফিস।
দুটি লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমুড়া মাখড়িবিল জলমহাল কালিজুরী ছত্রিশ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ৩ বছরের লিজ পায়। লিজ পাওয়ার পর থেকে সমিতিটি বিভিন্ন প্রজাতির ১লক্ষ টাকার মাছ ছেড়ে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিল। এই জলমহালের সুইচ গেইট স্থানীয় মাখড়িবিল পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান কৃষক বা কারো সাথে আলোচনা না করেই খেয়াল খুশিমত চুইসগেইট খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছেন। এতে সকল পানি মাছ সহ চলে যাওয়ায় ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জলমহাল। পানি না থাকায় মাখড়িবিলের কৃষকরাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও মাখড়িবিল পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জলমহালের ইজারাদারের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন বলেও ইজারাদার অভিযোগে উল্লেখ করেন। অন্য অভিযোগ পত্রেও একই অভিযোগ করেন কৃষকরা। তারাও আলোচনা না করেই ইচ্ছা খুশিমত সুইসগেইট খুলে পানি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন মাখড়িবিল পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে।
আমুড়া এলাকার কৃষক রহিম উদ্দিন মাখড়িবিলে প্রায় ৩০ কেয়ার জমিতে বুরো চাষ করেন। অপরিকল্পিত ভাবে সুইসগেইট খুলে দেওয়ার কারনে প্রায় সময় ক্ষেতের ক্ষতি সাধন হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। মাখড়ি বিলের কৃষক জামাল আহমদ, কামাল আহমদ ও কোবাই আহমদও একই অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মাখড়িবিল পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিন চাঁদাদাবি সহ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান দু’টি অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ দুটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।