ইয়ানূর রহমান : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে পাঠানো কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়া যশোর জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে সাংবাদিক, ডাক্তার, চিকিৎসাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশা, বয়সের মানুষ রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এদিন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকার মেডিকেল রিপোর্টার এস হাসমী সাজু (৩৮) এবং একই ত্রিকার আরেক রিপোর্টার লাবুয়াল হক (৫০) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা (৪৫)। সাংবাদিক সাজু যশোর নূতন উপশহরের বাসিন্দা। লাবুয়াল হক সদর উপজেলার কেফায়েতনগরের বাসিন্দা।
আক্রান্তদের তালিকায় আছেন ডাক্তার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডাক্তার গুলশান আরা রহমান (৩৫), তার দুই সন্তান নুসাইবা তাহসিন ও নাবিহা তাহসিন নাবা। এই দুই শিশুর বয়স যথাকক্রমে নয় মাস ও নয় বছর। এর আগে ডা. গুলশানের স্বামী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আজ আক্রান্তদের মধ্যে আরো আছেন ডা. গুলশানের শ্বশুর অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম (৮২), শাশুড়ি সুরাইয়া বানু (৬৮)। অধ্যাপক সালাম যশোর সরকারি সিটি কলেজের সাবেক শিক্ষক।
যশোর শহরসহ সদর উপজেলায় শনাক্তদের মধ্যে আরো আছেন বিদ্যুৎ অফিসের সাজ্জাদ হোসেন (২৬) ও রিপন আলী (৩৭), হাসানপুরের হাবিবুর রহমান (৩৮), বালিয়াডাঙ্গার ফজল হোসেন (৫৫), কোতয়ালী থানার হায়দার আলী (৬৫), বেজপাড়ার গৌর মল্লিক (৪৪) ও নন্দলাল (৬২), শেখহাটির মেসকাত (২৯), খাজুরার সাইফুল ইসলাম (৩৫), জেল রোডের কামরুজ্জামান (৬৫), গিচাপাড়ার সুদিপ্তা (২৫), খালধার রোডের হোসনে আরা (৫৮), উপশহরের জাফর ইসলাম (৪০), নিউ সিটির রুবাইয়া (৫৫), খাজুরার ইনতাজ (৫০), পাইকপাড়ার মো. আমজাদ খান (৬৫), ছইতনের সাজ্জাদ (৩৮), বারান্দীপাড়ার পলাশী (৫২), পোস্ট অফিসপাড়ার নাহার তালুকদার (৭৫), ৩৪৭ পুরাতন কসবার মাসুদ (৩০), ঘোষপাড়ার খুরশিদা নাসরিন (৩৪) ও মহিমা আফরোজ (২৩), বেজপাড়া ছায়াবিথী সড়কের সুভাস (৫৩), চাঁচাড়ার মশিউর রহমান (৪৬), নওয়াপাড়া রোডের জেবুন নেসা (৬৩), ঘোপ ডিআইজি রোডের ফারহান আসলাম (১১), চৌরাস্তার ডা. সম্পূর্ণা সেন (৩২) ও ডা. প্রিয়ব্রত রায় (৩৩)
এবং লোন অফিসপাড়ার বাচ্চু (৭০)। রুমা নামে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও আছেন, সদর উপজেলার পরিচয় প্রদান করা ঝিকরগাছার হারুন-অর-রশিদ (৫৪) এবং কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গৌতমকুমার দাস (৩৭) ও মো. নুরুল হক (৫৫)।
বাঘারপাড়া উপজেলায় আছেন, কেশবপুর উপজেলার পরিচয় প্রদান করা জহুরুল হক (৪৬) ও দেলোয়ারা খাতুন (৩০)। অভয়নগর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন হাইদিয়ার মো. আলী হোসেন (৩৫) এবং বাহির গেটের সখিনা (৬০)।
শার্শা উপজেলায় আছেন নাভরনের শাহী হার্ডওয়ারের ফারুক হোসেন (৫৬), সাতক্ষীরা মোড়ের শাহনাজ হাসান (৪৬), ফরিদা ইয়াসমিন (৬৮) ও ফারনাজ হাসান (২৩), নাভারন রেলবাজারের কামরুজ্জামান (৩০), খামারপাড়ার ফাতেমা বেগম (৬৫), বাগআঁচড়া এক নম্বর ওয়ার্ডের মাজহারুল আলম (৪৩) ও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফারহানা সুলতানা (৩৯)।