প্রিয় বধু,আগামী হেমন্তের নবান্ন উৎসবে তোমায়,
আমি দূর দেশ থেকে ফিরে এসে বাস্তব অভিজ্ঞতায়,
কিনে দেবো এক নতুন লাল পেড়ে বেনারশী শাড়ী।
আরও দেবো নাক ফুল ঝন ঝন কাঁচ ও সোনার চুড়ি,
হেমানি পাউডার দেবো আলতা লিপিষ্টিক সুগন্ধি চন্দন।
মনে রেখো সামনের নবান্ন উৎসবে ধান কাটা শুরু হবে নতুন-
গত বছর বর্ষায় ডুবে গিয়েছিল শস্যক্ষেত তাই জমির আবাদ ছিল ফসলহীন।
সেই কঠিন দুদিন ও অভাবের সংসারে আমরা কোন মতে বেঁচে গিয়েছিল সুজন।
একবেলা আধাবেলা খেয়ে ও না খেয়ে জীবন বেঁচে ছিল কষ্টের যন্ত্রণায়।
তবু গাঁয়ের অসৎ নেতা উষল করে আদায় করতো সুদ সমুদয়।
আর দুঃখ শুকিয়ে দিতো শরীরের রূপ রস রং ও ক্ষুধাভরা বিপন্ন যৌবন।
অনাহারী ক্ষুধার রাতে বুকের পাঁজরে শুধু হাড় জেগে উঠতো বিষণ্ণ মলিন।
হায়রে সময়,এই-দিকে খোঁজ নিয়ে দেখি,ওই মধ্যবয়সী বিধুবার কপাল পোড়া,
ফুসলিয়ে গাঁয়ের যে যুবককে নিয়ে,সে দূরে হয়েছিল উধাও পথহারা,
কামনার রস ভোগ করে সে যুবকও পালিয়ে গেলো গোপন কৌশল ছলনায়।
গজব বিধুবার জীবনে শুধু প্রেমহীন জ্বালা আর বিপন্ন যন্ত্রণার ব্যথায়।
কিন্তু এ-বছর ভালো আবাদ জমিতে হাসে স্বপ্ন ও বাসনার সদ্য সোনালী ফসল,
আলো আর বাতাসে জেগে ওঠে জীবন ও যৌবনের ভরপুর সুন্দর সকাল।
বেদনার কষ্টে গড়া এ-সংসারে আগামী আশার দৃঢ় দীপ্ত চেতনার আলো,
জীবন ঠিকানা খোঁজে বিজ্ঞ বিশোধন জ্ঞানের প্রজ্ঞায় বাস্তব পথ সরল!
এইতো কয়েক দিন পরেই তোমার বিদগ্ধ প্রেম আর ভালোবাসা বুকে নিয়ে ফিরবো ঘরে,
সংসারে দেখা হবে ঠিক অঘ্রাণ মাসে দুধ ও মিষ্ট রসের পিঠায় মধুময় সুরে।
সে পিঠার স্বাদে ও গভীর মমতায় তোমার শরীরে মিশে দেবো অনাগত আদর্শ নতুন বীজ,
দেখবে আগামী আবাদে অঙ্কুর হবে নতুন চারাগাছ ফুল ও ফলের মহৎ সাজ।
সেই সৌরভ নবান্ন উৎসব ঘ্রণে তোমার পবিত্র জঠরে আসবে এক ন্যায়পরায়ণ বংশধর!
আমাদের যৌথচেতনা আর মানব সভ্যতার দক্ষ নিপুণ আগামী অভিজ্ঞ অধিকার।