পাবনা’র সুজানগর উপজেলায় গর্ত ও ভগ্নপ্রায় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের দূর্ভোগ কমাতে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেন এলাকার যুব সমাজ।
উপজেলার অবহেলিত প্রতন্ত অঞ্চল নাজিরগঞ্জ-কামালপুর-হাটখালী-রাণীনগর-সৈয়দপুর-আমিনপুর এলাকার ১২ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গাজনার বিল অধ্যুষিত এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমান কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়। বিশেষ করে ধান, পেঁয়াজ ও গম চাষের জন্য গাজনার বিল ব্যাপক পরিচিত। জমি থেকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের পর সড়কের বেহাল দশার কারণে পণ্য ঘরে তুলতে চাষীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই সাথে গুনতে হয় অতিরিক্ত খরচ। সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি কথা সেটা নিত্য নৈমিত্বিক ব্যাপার। এলজিইডি আওতাধীন এ সড়কের জন্য দীর্ঘদিন কোন বরাদ্দ না থাকায় এলাকাবাসী পণ্য পরিবহন ও চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
সড়কের এই বেহাল দশায় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামনের কথা উপেক্ষা করে এলাকার কিছু যুবসমাজ মানুষের কল্যাণে ছুটে এসেছে। তারা সেচ্ছাশ্রম ও এলাকাবাসীর পৃষ্টপোষকতায় ইট-সুড়কি দিয়ে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। চালক ও যাত্রী সাধারণ তাদের এ উদ্যোগে দারুণ খুশি। এ মহৎ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার মানুষ সর্বস্তরের মানুষ।
হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ‘হাটখালী যুবসমাজের’ ব্যবস্থাপনায় ও সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রমে নাজিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাদাই ব্রিজ এবং নূরুদ্দিনপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশার অনেক উন্নতি হয়েছে।
সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুজ্জামান শাহীন জানান, অতি বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের সড়কগুলোর বেহাল দশা সৃষ্টি হয়।
‘হাটখালী যুবসমাজের’ উদ্যোগে সড়কের বেহাল দশার কিছুটা উন্নতি হয়। দূর্ঘনার ঝুকি হ্রাস পাওয়ায় যাত্রীরা ও যানবাহনগুলো এখন নিরাপত্তার সাথে চলাচল করতে সক্ষম হচ্ছে।