পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার স্কুল শিক্ষিকা কামরুন্নাহার শিল্পী’র ক্যাকটাসে ফুল ফুটেছে। লাগানোর সাত বছর পর এ ক্যাকটাসটিতে তিনটি ফুল ফুটলো। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং রাত বারোটার দিকে পরিপূর্ণ রূপে ফোটে তিনটি ফুল। বাড়ির সবাই এ ফুল ফোটার দৃশ্য দেখেন। ক্রমশই ধীরে ধীরে ফুলের দৈর্ঘ্য বাড়ছিল। খবর পেয়ে বন্ধু বান্ধব প্রতিবেশিরাও ভীড় জমান কামরুন্নাহার শিল্পী’র বাসায়।
কামরুন্নাহার শিল্পী ভাদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত শেখ আব্দুল বাসেদ ওরফে রমজানের মেয়ে। চালা বিহীন পরিত্যক্ত ঘরের মাত্র ৬৪ বর্গফুটের মতো মেঝেতে মনোরম ক্যকটাস ও ফুলের বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। টব, মাটির খুটি, পানি-তেলের পরিত্যক্ত বোতল, বালতি, জগ এসব পাত্রে একটার সাথে আরেকটা প্রায় লাগানো পঞ্চাশের অধিক মনোলোভা ক্যাকটাস ও ফুলের জগত রয়েছে তার। ২০০৩ সালে বাগান করা শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে বাড়ছে গাছের সংখ্যা ও জাত। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন পন্থায় পছন্দসই গাছ সংগ্রহ করেন তিনি। কামরুন্নাহারের ক্যাকটাস, বনসাই, অর্কিড, দেশী বিদেশী ফুলের সমাহার ও শৈল্পিক সৈন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।
কামরুন্নাহার শিল্পী বলেন, “ছোট বেলা থেকেই বাগান করার সখ ছিল। এখন অবসর সময় বাগানের গাছের পরিচর্যা করি। গাছের পরিচর্যা করে আনন্দ পাই। ফুল, গাছ মনের খোরাক জোগায়। কক্সবাজার, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস ও দেশী বিদেশী ফুলের গাছ সংগ্রহ করেছি। কোথাও বেড়াতে গেলে পছন্দসই ক্যাকটাস চোখে পরলে সেটি যেন আমার চাইই। কেনার পরিবেশ থাকলে কিনি। কেনার পরিবেশ না থাকলে চেয়ে নেই। চেয়ে না পেলে চুরি ও করি”। যারা এসব গাছ লাগাতে ইচ্ছুক তাদের চারা কন্দ শাখা দিয়ে সহায়তা করি। মানুষ গাছ লাগাক এটা আমার ঐকান্তিক চাওয়া। পঁচিশ প্রজাতির ক্যাকটাস, চার প্রজাতির সেঞ্চুরী, দেশী ও চায়না বটের বনসাই, ডুমুরের বনসাই, কয়েক প্রজাতির পাথরকুচি, অর্কিড, ছয় প্রজাতির গোলাপ, ভুঁইচাপা, ফনীমনসাসহ অনেক গাছ আমার বাগানে রয়েছে। বাগান প্রসারে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঘড়ের কার্নিশে পর্যন্ত টব দিতে হয়েছে আমাকে। সাত বছর অপেক্ষা করার পর লতানো ড্রাগন গাছের আকৃতির এ ক্যাকটাসটিতে সাদা রঙের প্রায় পনেরো ইঞ্চি লম্বা ফুল ফুটলো”।