সরকার কর্তৃক কৃষকের নিকট থেকে খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহে চাটমোহরে ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৩১৫ মেঃ টন। উদ্বোধনের ৪৫ দিন পার হলেও ইতিমধ্যে মাত্র ১শ ৫৭ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে।
চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা ও বিলচলন ইউনিয়নে আগাম বৃষ্টির পানিতে অনেক ধান তলিয়ে যায়। এ এলাকার অনেক কৃষক আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তোলেন। এসময় শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করে এবং শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও বেড়ে যায়। ফের আগাম বন্যায়ও কৃষকের ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। দুই দফা প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটাতে এ এলাকার অনেক কৃষক ফরিয়াদের নিকট ধান বিক্রি করতে বাধ্য হন। অনেকে আরো বেশি দামের আশায় ধান বিক্রি না করে গুদামজাত করে রেখেছেন। অন্য ইউনিয়ন গুলোর ধান না ডুবলেও ধানের বর্তমান বাজার মূল্য এবং সরকার নির্ধারিত খাদ্য বিভাগের ক্রয় মূল্যে খুব একটা তফাত না থাকায় খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে আগ্রহ নেই কৃষকের। হাট বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে চাটমোহরে প্রতিমন ধান ৯শ ৫০ টাকা থেকে ৯শ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাটমোহরে কর্মরত খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, কৃষকের নিকট থেকে স্বচ্ছ ভাবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে গত ২০ মে উন্মুক্ত লটারী করা হয়। এক হাজার তিনশ পনেরো টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে চাটমোহর পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৩ শত ১৫ জন কৃষকের নাম ওঠে লটারীতে। ২৬ টাকা কেজি দরে পহেলা জুন থেকে শুরু হয় ধান সংগ্রহ। এবছর ধানের বাজার মূল্য বেশ ভাল থাকায় কৃষক খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
ধান চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান জানান, ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহের সময়সীমা রয়েছে। ধান সংগ্রহে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।