নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম (৪২) করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজেকে
আইসোলুয়েটেড করে রেখেছিলেন দীর্ঘ ১৬ দিন। করোনার সাথে যুদ্ধ করে জয়ীও হলেন তিনি। কিন্তু উপলদ্ধি জন্মেছে কারও যেনো করোনা ভাইরাসের
সাথে বাস করতে না হয়। আর তাই করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসার পরের দিন থেকে তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাস্ক কিনে তা বিনামূল্যে
বিতরণ করছেন মানুষের মাঝে। পাশাপাশি নিয়মমতো মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্য বিধি মানার পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম বনপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ‘মাস্ক ব্যবহার করছেন না’ এমন ৫ শতাধিক মানুষের
মাঝে বিতরণ করেছেন উন্নতমানের মাস্ক। বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, রিক্স্রাভ্যান থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের, ফুটপাত বা মার্কেটের দোকানদার ও
খদ্দেরদের মাঝে তিনি বিতরণ করছেন মাস্ক।
ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ মে নমুনা পরীক্ষায় আমার শরীরে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ নিশ্চিত হই। এরপর থেক আইসোয়েলুয়েশনে যাই
ও ঘরে বসে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ঔষধ সেবন করি এবং বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলি। পরবর্তীতে ২৮ মে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ জুন নমুনা পরীক্ষায়
আমার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। আমি সুস্থ হলাম ঠিকই কিন্তু উপলদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে আসলে কতটুকু অসহায় লাগে নিজেকে।
আর এই উপলদ্ধি থেকেই প্রতিনিয়ত কামনা করি কোন ব্যক্তি যেনো করোনায় আক্রান্ত না হয়। আর তাই আমার পক্ষ থেকে সাধ্যমতো মাস্ক বিতরণ
করছি। পুলিশ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম জন সমাগম এড়িয়ে চলতে ও করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মানতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।