শ্রীমঙ্গলে বিয়ে পাগল স্বামী ঃ স্ত্রী-সন্তানদের দীর্ঘদিন যাবৎ অমানবিক নির্যাতন

শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের
কালাপুর গ্রামে স্ত্রী-সন্তানদের দীর্ঘদিন যাবৎ অমানবিক নির্যাতন ও ছলনাকরে একাধিক বিয়ে করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিয়ে
পাগল স্বামী আহাদ মিয়া (৪০) এর বিরুদ্ধে। এ ঘঠনায় সদর উপজেলার ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের মোকামবাজার গ্রামের ভুক্তভোগী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে মবশ্বির মিয়ার পুত্র বিয়ে পাগল স্বামী আহাদ মিয়া (৪০) গংদের অভিযুক্ত করে শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী স্ত্রী সুত্রে জানা গেছে- ২০০৬ সালে ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের। তাদের ঘরে ২ সন্তানও
রয়েছে। বেশ কিছুদিন ভালো ভাবেই চলছিলো, কিন্তু সুখ আর বেশি দিন সইলনা তার কপালে। স্বামী কৌশলে বিদেশ যাবার কথা বলে ৫ লক্ষ নিয়ে ২০১৫
সালের জানুয়ারীর শেষের দিকে সৌদি আরব পাড়ি জমায় আহাদ মিয়া।
কিন্তু, সেই দেশে গিয়ে স্ত্রী-সন্ত্রানদের সাথে যোগাযোগ ও ভরণ-পোষন বন্ধ করে দেয়। দুই সন্তানের লেখা-পড়ার খরছ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়।
সর্বশেষ প্রবাসে একটি অপরাধরে কারণে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন।
বাংলাদেশে এসেও তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। শিল্পীর পিত্রালয়ে সংবাদ পাঠায় তাকে আরো টাকা দেয়ার জন্য। এতে রাজী না হওয়ায় তাকে মানষিক ও
শারীরিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। দাবীকৃত টাকা না দিলে স্ত্রীকে তালাকের জন্যও একাধিক হুমকি দিতে থাকে। ঘরে তালা দিয়ে রাখেন। এহেন সংবাদ শুনে
শিল্পীর পিতা হাট হ্যাটাক করে মৃত্যু বরণ করেন। এসময় একাধিক বিয়ের পায়তারা করলে স্থানীয় লোকজনের বাঁধার কারণে তা সম্বব হয়নি। স্ত্রী-
সন্ত্রানদের অমানবিক নির্যাতন করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয় এবং পুনরায় বিয়ে করার পায়তারা চালায়। সর্বশেষ স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হয়েছে মর্মে
মিথ্যা প্রচারনা করে গত ২৩ জুন ইছবপুর গ্রামে জনৈক আশিক মিয়ার ভাগ্নির বাড়ীতে গিয়ে ২য় বিবাহের আয়োজন এর সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে
ঐদিন কালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় সেই বিবাহ ভেঙ্গে দেন স্ত্রী শিল্পী। শিল্পী আরো বলেন- অনেক মেয়েদের সাথে তার অবৈধ সম্পর্কও রয়েছে। সে প্রতিদিন একজন কম বয়সের নারীর সন্ধানে থাকে। পরিবারের স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি কোন খোয়াল রাখেননি। আমার স্বামীর কারণে বাবা মৃত্যু বরণ করলেন। অপরদিকে সর্বশেষ- আমার মা গত ২৩ রমজান একই ভাবে মারা যান। সে মায়ের দাপন-কাপন ও জানাযায় অংশ গ্রহণ করেনি। নারীলোভী, যৌতুকলোভী, চরিত্রহীন, লম্পট, ভন্ড প্রতারকের উপযুক্ত শাস্তি চাই। একজন ভন্ড প্রতারকের মুখোশ সমাজের সবার সামনে উন্মোচিত হোক, যাতে আমার মত আর কোন মেয়ের সাথে
এমন কাজ না করতে পারে। সবাই যেন তার কাছ থেকে সচেতন থাকে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি তদন্ত সুহেল ঘঠনার সত্যতা
স্বীকার করে বলেন- এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার বিষয়টি মীমাংসার উদ্যাগ গ্রহণ করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।