বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির আলীর বিরুদ্ধে তথ্য সেবা কেন্দ্রে নিয়োগ বাণিজ্য ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার গ্রামবাসির পক্ষে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের মিয়াজানের গাঁও গ্রামের মৃত আবারক আলীর পুত্র আব্দুল খালিক (৩০)। সেই সাথে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপিও দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমির আলী চেয়ারম্যান অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন সেবা প্রদানকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তারই পরিষদের মেম্বার শাহিন আহমদকে। ওই মেম্বার তথ্য সেবা প্রদানকারি কর্মকর্তা হিসেবে যেমন বেতন গ্রহণের পাশাপাশি তিনি মেম্বার হিসেবেও সরকারি তহবিল থেকে ভাতা গ্রহণ করে আসছেন। তাই মিয়াজানের গাঁও গ্রামের লোকজন তথ্য সেবা গ্রহণ করতে গেলে তাদের কাছে প্রচুর পরিমানে টাকা দাবি করা হয়। তারা টাকা না দেয়ায় সরকারের দেয়া তথ্য সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছেন।
বিষয়টি চেয়ারম্যান আমির আলীর কাছে গিয়ে অবহিত করা হলে তিনি তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে ভয়ভীতি দেখান।
এছাড়াও ওই মেম্বারকে তথ্য সেবা প্রদানকারি কর্মকর্তা নিয়োগের পর থেকে মেম্বার দ্বারা চেয়ারম্যান অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন আব্দুল খালিক। এভাবে চেয়ারম্যান ও মেম্বার তথ্য সেবা প্রদানকারি হিসেবে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নিতেছেন। তার সুবিচার ও তারা সেবা গ্রহনের সুযোগ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে ওই আবেদনটি করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন- শাহিন আহমদ মেম্বার হওয়ার পূর্বে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্দোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর লিখিত দিয়ে ওই পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। প্রকৃতভাবে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য ওই আবেদনটি দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।