উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারতের গজল ডোবা খুলে দেযা পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় জেলার তিস্তা ধরলাসহ ১২টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৭জুন শনিবার বিকাল ৪ টায় তিস্তা নদীর পানি দোয়ানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার ও ধরলা পানি বৃদ্ধিতে নদী তীরবর্তী জেলার ১৩টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে।
তিস্তা
নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
তিস্তার ভাটিতে থাকা চর ও দ্বীপচরে বসবাসরত গ্রামবাসীরা অনেকে নিরাপদ
দূরুত্বে সরে যাচ্ছে। অনেকে উচু স্থানে কিংবা নিকট আতœীয় স্বজনের
বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে ও
নিন্মাঞ্চলে ১০হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পাট, ভুট্টা ও আমন
বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে।
জেলা
প্রশাসক আবু জাফর জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা
হয়েছে। সরকার দূর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে আছে থাকবে। বন্যায় কোন পরিবার
খাদ্যাভাবে পড়বে না।
জেলা
ত্রাণ ও পুর্নবাসন দপ্তর জানায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ২১
মে. টন জিআর চাল বিতরন করা হয়েছে। আজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোতে ৫৯
মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পরবর্তি প্রস্তুতি ও হাতে নেয়া হয়েছে জানান
জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।