গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষন এবং বেপরোয়াভাবে পাওয়ার টিলার চলাচলের কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জর উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিটি কাঁচা রাস্তার গর্তে পানি জমে হাটু ও গিটা কাঁদায় পরিণত হয়েছে। সে কারণে সকল প্রকার যাবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। রাস্তাগুলোর এ অবস্থা হওয়ার কারণে অনেকে বাড়ি হতে বের হতে পারছে না। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল দশা। বিশেষ করে মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, অটো ভ্যান, রিক্সা, ঘোড়ার গাড়ি, অটোবাইক চলাচল অত্যন্ত দূরহ্ ব্যাপার হয়ে দাড়িছে। উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের বজড়া কঞ্চিবাড়ি গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়া জানান, তার বাড়ি হতে বজড়া কঞ্চিবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচারাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার ও মেরামত না করার কারণে অসংখ্য খানা খন্দে ভরে উঠেছে রাস্তাটি। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে হাটু কাঁদায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অনেকে হাট বাজার করতে পারছে না। এদিকে বেলকা মজিদ পাড়া গ্রামের এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় হাটু কাদায় পরিনত হওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের জন্য কাবিখা প্রকল্প না থাকায় কাঁচা রাস্তাগুলোয় মাটির কাজ করা হচ্ছে না। সে জন্য বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে গিয়ে কাঁদা ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার জানান, উপজেলার কাঁচা রাস্তা গুলোর অবস্থা খুবেই খারাপ। তিনি বলেন গত ২ বছর ধরে নতুন করে কোন রাস্তা পাকা হচ্ছে না উপজেলায়। সে কারণে অনেকটা পিছে রয়েছে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা।