লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন আহাম্মদ শরিফ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী। তবে স্ত্রীর দাবি স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেয়ায় উল্টো তাকেই শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের আহাম্মদ শরীফ স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে ১৬ জুন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ পত্রে স্ত্রীর পাশাপাশি ছেলে-মেয়ে, শ্যালক ও ভায়রাকেও আসামি করা হয়েছে। এর আগে ১১ জুন স্বামীকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়।
হাতীবান্ধা থানা সুত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা শহরের কাপড় ব্যবসায়ী ও দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের নছের উদ্দিনের পুত্র আহাম্মদ শরিফ থানায় তার স্ত্রী, পুত্র আহসান হাব্বি মোজাহিদ, মেয়ে আসমাইল হুসনা সোনিয়া, শ্যালক আঃ ছালাম রোকন ও ভায়রা কোরবান আলীকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে তার আগে স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া বাদি হয়ে হাতীবান্ধা থানায় আহাম্মদ শরিফের বিরুদ্ধেও একটি মামলা দায়ের করেন।
আহাম্মদ শরিফ তার অভিযোগ পত্রে দাবি করেন, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া তার কাছ থেকে জোরপূর্বক জমি কবলা করে চায়। এতে তিনি রাজি না হলে স্ত্রী তাকে প্রায়ই সময় শারীরিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রীকে তার পুত্র, মেয়ে, শ্যালক ও ভায়রা সহযোগিতাও করেন। তাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত ৫ মে আহাম্মদ শরিফকে আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়াকে তালাক প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও গত ১১ জুন তাকে নির্যাতন করেন স্ত্রী, পুত্র, মেয়ে, শালক ও ভায়রা।
আহাম্মদ শরিফ বলেন, আমাকে শুধু আমার স্ত্রী নয়, আমার ছেলেও কয়েকবার নির্যাতন করেছেন, যা এলাকায় গেলে শত শত মানুষ সাক্ষী দিবেন।
তবে আহাম্মদ শরিফের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার রোকেয়া বেগম মায়া বলেন, আমার স্বামী ২য় বিয়ের অনুমতি চেয়েছিলেন। অনুমতি না দেয়ায় আমাকে নির্যাতন করেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ইতিমধ্যে সহকারী পুলিশ সুপারসহ আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। পুরো বিষয়টি আরো অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।