শিল্পউদ্যোক্তা কবি, সাহিত্যিক ডঃ সোহানী হোসেনের ৫৩তম জন্মদিন আজ

ডঃসোহানী হোসেন শিল্প, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি যে ক’জন নারী বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নারী শিল্প উদ্যোক্তা ডঃ সোহানী হোসেনের কথা। তিনি একেধারে শিল্প উদ্যোক্তা, কবি ,সাহিত্যাক-ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাবনার পুত্রবধু সোহানী হোসেন ১৯৬৭ সালের ২২ জুন নাটোর জেলা শহরের কানাইখালীতে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । শিক্ষাজীবন শেষ করার আগেই ১৯৮৯ সালে পাবনার বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শ্যুটার আলহাজ মোবারক হোসেন রত্ন;র সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর তিনি হাল ধরেছেন স্বামীর গড়া ইউনিভার্সেল  গ্রুপের।    গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ব্যবসায়িক  সফলতার পাশাপাশি  স্বামীর দেখানো পথে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ব্যক্তিগতভাবেও হাত বাড়িয়েছেন বহু মানুষের সহযোগিতায়। তাঁর সহযোগিতায় বেশ কয়েকজন অদম্য মেধাবী শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছেন। সর্বোপরি সোহানী হোসেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেকে সঁপেছেন মানুষের মাঝে। তিনি বলেছেন- নিজের অর্জন দিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা তাঁর আগামী দিনের সংকল্প। সে চেষ্টাই করছেন।তিনি কবিতা, গান, গল্প লিখে, ছবি এঁকে জয় করতে চেয়েছেন মানুষের মন।তাঁর লেখা কবিতার বই ‘সমুদ্র’, ‘সমুদ্র তরঙ্গ’ ও ‘তৃতীয় একজন’ ,বিদায় ছুটিপুর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে পাঠক সমাজে। লেখা কবিতা নিয়ে দেশের নন্দিত শিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সুরে এবং জনপ্রিয় আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা ও ঈশিকা আজিজের কণ্ঠে তৈরি হয়েছে আবৃত্তির সিডি ‘তৃতীয় একজন’। তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ছবি গ্রন্থ ‘কষ্টগুলো আটকে থাকে দুই মলাটের ভাঁজে’। গীতিকার ও গল্পকার হিসাবেও তিনি নিজেকে তুলে ধরেছেন মানুষদের মাঝে। তার লেখা বেশ কয়েকটি গান এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। তার ‘মা’ গল্প থেকে তৈরি হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘সত্ত্বা’।নিজের কর্মদক্ষতা ও উদ্যমতা দিয়ে তিনি বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে রোটারি ক্লাব অব রূপকথা পাবনা। ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্লাবটি পেয়েছে বেশকিছু স্বীকৃতি। তিনি নিজেও কম যাননি। পেয়েছেন এওয়ার্ড। এছাড়াও তিনি পাবনা রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য, পাবনা বনমালী ইনস্টিটিউট আজীবন সদস্য, পাবনা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভানেত্রী ও জেলা সমাজকল্যাণ পরিষদ পাবনাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সক্রিয় সদস্য হিসাবে জড়িত থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন।এছাড়া মানবসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পেয়েছেন মাদার তেরেসা পদক, দাদা সাহেব ফালকে সহ নানা পুরস্কার। এছাড়া সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের ভারতের গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া একজন সফল শিল্পউদ্যোক্তা,সফল ব্যবসায়ী, গীতিকার,উপন্যাসিক, কবি হিসেবে দেশ বিদেশে  পুরস্কৃত    হয়েছেন। দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান।
জন্মদিনে তাঁকে  অনেক অনেক শুভেচ্ছা