করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে সারা দেশে হাসপাতাল, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক যেখানে সাধারণ রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে ছাতক উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক পল্লী চিকিৎসক (আরএমপি) ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত গ্রামের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) ছাড়াই তারা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। এতে করে চিকিৎসক, রোগীসহ সাধারণ মানুষ করোনা আতংকে রয়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিন উপজেলার সদর,গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট, নতুনবাজার, কালারুকা, রামপুরবাজার, বুড়াইরগাওনবাজার, ধারন নতুনবাজার, পীরপুরজার, পেপারমিল মিনিমাকেট, নোয়ারাইবাজার, লাকেশ্বর বাজার, দোলালবাজার, মইনপুরবাজার, জাহিদপুর বাজার, বরাটুকাবাজার, টেটিচরবাজার, জাউয়াবাজার,কৈতক হাসপাতাল বড়কাপনবাজারসহ পল্লী চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি চিকিৎসকের চেম্বারে ২০-২৫ জন রোগী রয়েছেন চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য। তারা সরাসরি চেম্বার কক্ষেই ভিড় করে বসে আছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে একে অন্যের সঙ্গে মিশে বসে রয়েছেন এবং তাদের কারো মুখে নেই মাস্ক।শতকরা ৯০ ভাগ রোগীই জ্বর, ঠান্ড, কাশিসহ করোনা লক্ষণ রয়েছে। চিকিৎসাকর্মীরা তাদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে সেবা নেয়ার অনুরোধ জানালেও তারা কেউ তা মানছেন না। করোনা আতঙ্কহাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে বেশিরভাগ রোগীই চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন পল্লী চিকিৎসকের দ্বারে। সারা দেশ কার্যত লকডাউনে থাকায় ঢাকাসহ বিভিনś শহরের লোকজন এখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ কারণে পল্লী চিকিৎসকদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এ দিকে করোনা আতĽে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স হাসপাতালে ডাক্তারদের ব্যক্তি সুরক্ষা থাকার পরও জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, ঠান্ডাজনিত রোগীদের সরাসরি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সেবা দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে রোগী বাড়িতে বসে সেবা নেয়ার জন্য হাসপাতালের । এ সব রোগীর ফোন করে সেবা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অথচ পল্লী চিকিৎসকগণ প্রতিনিয়ত করোনাকে মোকাবেলা করে ব্যক্তি সুরক্ষা পিপিই, গাভস, মাস্ক এবং অন্য কোনো সাপোর্ট ছাড়াই তারা প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবা দিয়ে চলছেন নিরলসভাবে। সেবা নিতে আসা গ্রামে বাসিন্দা রফিক আলী জানান, আমার ছেলের কয়েকদিন ধরে জ্বর হয়েছে। হাসপাতালে নেয়া যাবে না তাই বাধ্য হয়ে পল্লী চিকিৎসককে দেখালাম। আমরা এখন আতĽে মধ্যে রয়েছি। আমার ছেলের প্রচুর জ্বর ছিল পল্লী চিকিৎসক দেখে মেডিসিন দেয়ার পর এখন শরীর ভালো। সরকারি ডাক্তারের মতো যদি আমার ছেলেকে না দেখত তাহলে যে কী উপায় হতো। পল্লী চিকিৎসক পল্লী চিকিৎসক রিপন দাস জানান,গত শনিবার আমার চেম্বার ছাতক প্রবীন সাংবাদিক তার মাথা ব্যথা ও পেশ্রাব কমে গেছে। তার পেশ্রাব পরীক্ষা করেছেন। এসময় প্রতিদিন আমি ৮০-১০০ জন রোগীর সেবা দিয়ে থাকি। এখন হাসপাতালগুলোতে রোগী না যাওয়ার ফলে আরও চাপ বেশি আমাদের কাছে। সর্তকতার সঙ্গে ব্যক্তি সুরক্ষা ছাড়াই করোনা ঝুঁকি নিয়েই আমরা রোগীদের সেবা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সুরক্ষায় সরকারি ডাক্তারের মতো আমাদেরও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) দেয়া হোক। উপজেলা পল্লী চিকিৎসক (এমআরপি) আব্দুল হান্নন পীর জানান, উপজেলার প্রায় ৪শ’ পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন। তারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। জনস্বার্থের কথা চিন্তাা করে করোনা মোকাবিলায় এ সব স্বাস্থ্যকর্মীর সুরক্ষা সরঞ্জামের সামগ্রী অতীব জরুরি। ডাক্তার মোজাফারুল ইসলাম জানান, সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া রোগীর সেবা দিতে গেলে চিকিৎসক এবং রোগী সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এভাবে রোগী দেখলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেশি হতে পারে বলে তিনি জানান