উপ-সহকারী কৃষি কর্তকর্তা পদে জনবল নিয়োগে মেধাবীদের বঞ্চিত,জেলা ভিত্তিক কোটা অনুসরন না করা,অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে ত্রুুটিপূর্ণ ফলাফল প্রকাশের প্রতিবাদ এবং বঞ্চিতদের পুন:নিয়োগের দাবীতে শনিবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর
প্রেসক্লাবের সন্মুখ সড়কে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে দিনাজপুরের চুড়ান্ত ফলাফলে পদ বঞ্চিত মেধাবীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে নিয়োগের জন্য গত ০২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৮ আগস্ট ফলাফল প্রকাশ হয়। প্রিলিমিনারি
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ২৮ হাজার+ প্রার্থী এবং এতে উত্তীর্ণ হয় ১০ হাজার ৩৯ জন পরিক্ষার্থী।
এরপরে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ ফল প্রকাশ হয়, উত্তীর্ণ হয় ৫ হাজার ১১৪ জন। অতপর তাড়াহুড়ো করে ২ দিনের মধ্যেই ১৭ জানুয়ারী ২০ তারিখে বেলা ২টায় উপ-সহকারী কৃষি
কর্মকর্তা পদে প্রাথমিক নির্বাচিত ১ হাজার ৬৫০ জন
প্রার্থীর রোল প্রকাশ করা হয় এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন প্রার্থী পদ বঞ্চিত হয়। তারা বলেন, উল্লেখিত নিয়োগ প্রμিয়ার বিপরীতে যে নিয়োগ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সম্পন্ন করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে দূর্নীতির একটি বৃহৎ কালো অংশ যা মোচনীয় নয়।
ইতিমধ্যে এই নিয়োগ প্রμিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়েছে। যে কারণে
নিয়োগটি এখনো বৈধ হয়নি কিন্তু বিপিএসসি হতে গত ০৪ জুন ২০ তারিখে আবারো তড়িঘড়ি করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা বলেন, আমরা জাতিরজনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়ম ও দূর্নীতির ৬টি চিত্র তুলে ধরে তার অধীনে বিশেষ পর্যবেক্ষণ চেয়েছি যা করা
হলে, আমাদের দেয়া তথ্যগু̧লো চাক্ষুষ প্রমাণিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। নিয়োগ প্রμিয়ায় বিদ্যমান অনিয়ম গুেেলার মধ্যে উল্লেখযোগ ̈ হলো:- বিধি মোতাবেক জেলা কোটা অনুসরন
করা হয়নি, কিছু জেলায় কোটা অতিরিক্ত নিয়োগ দেয়া হয়েছে যা তুলনামূলক দ্বিগুন-তিনগু̧নের অধিক হবে। যেমন টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ইত্যাদি। লিখিত
পরীক্ষার নাম্বার বিবেচনা না করে, দূর্নীতি করে তাদের পরিকল্পিত রোলের তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ প্রμিয়া সম্পন্ন করেছে।
যার অনেক তথ্য ̈ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আইবিএ কর্তৃক দেয়া লিখিত নাম্বার এবং ভাইভা নাম্বর যাচাই করলে অনিয়মের চাক্ষুষ প্রমাণ মিলবে বলে আমরা আশাবাদী।
টাকার বাণিজ্যের কারণে মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। সম্পূর্ন নিয়োগটি একটি সিন্ডিকিডের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে তৈরি হয়েছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৭/০১/২০২০ ইং তারিখের স্মারক নম্বর ১২.০১.০০০০.৩৮.১১.০০৪.২০১৭.১৮৩ মূলে “উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে” নিয়োগের প্রকাশিত ফলাফল প্রকাশের পর বার
বার স্মারক নং এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ত্রুটিপূর্ন ফলাফল তিন ধাপে সংশোধন করা হয়, যা দূর্নীতির চিহ্ন হিসেবে ধরা যায়।
মানববন্ধনে সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপে ৩ হাজার ৪৬৪ জন নিয়োগ
বঞ্চিতকে প্যানেলে নিয়োগ দিয়ে কৃষকের পাশে দাড়ানোর সুযোগ দেয়ার দাবী করেন তারা ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুরের চুড়ান্ত ফলাফলে পদ বঞ্চিত মেধাবীদের মধ্যে মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ সেলিম হোসেন ও দিপক চন্দ্র রায় ।