নাটোরের গুরুদাসপুরে দেবোত্তর গরিলা গ্রামে ফতোয়া দিয়ে একঘরে করে মা মেয়েকে সমাজচ্যুত করেছিল গ্রাম্য মাতব্বররা। এই অসহায় পরিবারকে সোমবার গুরুদাসপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। ভুক্তভোগী মা মর্জিনা ১৬জন ফতোয়াবাজ গ্রাম্য মাতব্বরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে প্রধান আসামী ইউপি সদস্য মোসাব্বের আলী, মাওলানা মনিরুজ্জামান, মনিরুল, রাশিদুল, রওশন, আব্দুল মান্নান, এরফান মোল্লা ও রবিউল করিমকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে নাটোর কারাগারে পাঠিয়েছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
এদিকে গ্রাম্যপ্রধানদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করায় বিপাকে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। আসামীদের আত্মীয়স্বজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে করুন পরিণতি ভোগ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন মামলার বাদী দিনমজুর কামরুলের স্ত্রী মর্জিনা (৫০)।
জানা যায়, ৮জুন সোমবার রাত ৮টার দিকে রানীনগর মোল্লাপাড়া হয়ে জামাইকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একই গ্রামের শুকচাঁদ, কামরুল, আতহার ও আলামিন নামে চার যুবক তাদের পথরোধ করে। অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে তাঁদের (জামাই-শ্বাশুরী) বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকার দাবী করে। টাকা না দেওয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে মাঝরাতে ছেড়ে দেয় তারা। হঠাৎ ১৩জুন তাদের বিরুদ্ধে ওই মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে সমাজচ্যুত করা হয়।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, গ্রাম্য মাতব্বরদের ফতোয়ার কারণে সমাজচ্যুত ওই পরিবারকে কেউই উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। গুরুদাসপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে এবং তাদের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৮আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই পরিবারকে কেউ হুমকি ধামকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।