দিনাজপুরে আরএমও ডা: মো: পারভেজ সোহেল রানা ও তাঁর এক অফিস সহায়কসহ নতুন করে আরো ১১ জন করোনায় আক্রান্ত। শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৮ জন। নতুন ২৪ জনসহ ১৪৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নতুন আক্রান্ত ১১ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪ জন, পার্বতীপুরে দুইজন, বিরলে দুইজন, বীরগঞ্জে একজন, চিরিরবন্দরে একজন ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় একজন। আর নতুন সুস্থ ২৪ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, ঘোড়াঘাটে ১৫ জন, বোচাগঞ্জে ৩ জন ও কাহারোল উপজেলায় ৩ জন।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ শনিবার (১৩ জুন) রাত ৯টায় সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন আরো ১১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাড়ালো ৩৯৮ জন।
জেলায় নতুন আরো ২৪ জনসহ ১৪৪ জন সুস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যবরন করেছে। আক্রান্ত ৩৯৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮৭ জন, নারী ৯৪ জন ও শিশু ১৭ জন।
সিভিল সার্জন জানান, করোনায় আক্রান্ত ৩৯৮ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১১৯ জন (মৃত একজনসহ), কাহারোলে ১৩ জন, বিরলে ৩৭ জন, বোচাগঞ্জে ১১ জন (মৃত একজনসহ), পার্বতীপুরে ৩৪ জন (একজন মৃতসহ), ফুলবাড়ীতে ১৪ জন, নবাবগঞ্জে ২৫ জন, হাকিমপুরে ৫ জন, খানসামায় ২২ জন, বিরামপুরে ৩২ জন, ঘোড়াঘাটে ৩১ জন, চিরিরবন্দরে ৩৬ জন (মৃত দুইজনসহ) ও বীরগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন।
অপরদিকে সুস্থ ১৪৪ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৩১ জন, ফুলকাড়ীতে ৩ জন, নবাবগঞ্জে ১২ জন, পার্বতীপুরে ১৩ জন, কাহারোলে ১০ জন, বোচাগঞ্জে ৮ জন, হাকিমপুরে দুইজন, ঘোড়াঘাটে ১৯ জন, বিরামপুরে ৩ জন, বিরলে ২৩ জন, বীরগঞ্জে ১২ জন, খানসামায় ৬ জন ও চিরিরবন্দর উপজেলায় দুইজন।
এছাড়া বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২১০ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১১ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, শনিবার মোট ৮১টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে যার মধ্যে ১১টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ, দুইটি নমুনার ফলাফল ফলোআপ পজিটিভ ও বাকী ৬৮টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আর এ পর্যন্ত ৫১৯৭টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭৬৮টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া শনিবার ১২২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৫ জনসহ এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৬৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ও হোম কোয়ারেন্টইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৮ হাজার ১৩১ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে আছেন ২ হাজার ৭৩৩ জন।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ৩২১ জনকে ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৩০৭ জন ও বর্তমানে ১৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে রয়েছে।