রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মোনায়েম খান (৫২) নামের এক ব্যাক্তি পাওনাদারদের কারনে আত্বহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্বহত্যা করেন বলে জানা যায়। মৃত্যুর পর তার পকেটে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানে কয়েকজন পাওনাদারের নাম লেখা রয়েছে এবং এদের কারনে আমি মারা গেলাম লেখা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১জুন) পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এলাকা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের নছির উদ্দিন খান এর ছেলে মোনায়েম খান বাঁধের হাট নামক বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ওই এলাকায় কতিপয় ব্যাক্তি জমজমাট ভাবে দাদন ব্যবসা চালু রাখায় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোনায়েম খান উচ্চ সুদে টাকা নেয়। সময় মত তাদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মাঝে মাঝেই তিনি পাওনাদারদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতেন। পাওনাদাররা তার নামে মামলাও করেছেন। বিভিন্ন সময়ে এসে তারা তাকে হুমকি-ধামকিও দিতেন। এসব কারনেই সে আত্বহত্যা করেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত বারোটার দিকে স্থানীয় একটি ইট ভাটার কাছে একজনের আওয়াজ শুনতে পেয়ে লোকজন সেখানে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় লোকজন মোনায়েম কে ছটফট করতে দেখে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতেই প্রান হারায় সে। পরে তার পকেটে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহীর মর্গে প্রেরন করে। দ্বীপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান দুলাল বলেন, অতিরিক্ত ঋনের কারনে পাওনাদারদের চাপে সে আত্বহত্যা করে থাকতে পারে। যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জিব কুমার বলেন, মরদেহ উদ্ধর করা হয়েছে। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।