পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যাওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যুবককে পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুলদহ গ্রামে তার সন্ধান পায় প্রশাসন। এর আগে বুধবার রাতে করোনা পজিটিভের খবর শুনে ওই যুবক ভাঙ্গুড়া সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যায়। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম তাকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত যুবক ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা।
সূত্র জানায়, ঢাকার সাভার এলাকায় একটি ইটভাটায় কর্মরত ওই যুবক গত ২২ তারিখে ভাঙ্গুড়ায় আসে। এরপর ভাঙ্গুড়া পৌরসভার উদ্যোগে ওই যুবক সহ আরো কয়েকজনকে ভাঙ্গুড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। পরের দিন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন তাদের দেখভাল করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনে কোয়ারেন্টিনে থাকা সাতজনের মধ্যে ওই যুবকের করোনা পজিটিভ বলে জানায়। এরপর রাতেই ওই যুবক প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যায়। পরে প্রশাসনসহ ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র ওই যুবকের অনুসন্ধান শুরু করেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার বিকালে পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্যমতে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের রুলদহ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ওই যুবকের সন্ধান মিলে। তখন ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন পাবনা জেলা ও ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্বশুর বাড়িতেই ওই যুবককে আইসোলেশন থাকার ব্যবস্থা করে বাড়ি লকডাউন করে দেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা আক্রান্ত যুবক পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রশাসনসহ ভাঙ্গুড়া পৌরমেয়র ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁর পরিবারের দেয়া তথ্যমতে আক্রান্ত যুবককে পাশের ফরিদপুর উপজেলার একটি গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে পাওয়া যায়। পরে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শ্বশুরবাড়িতেই হোম আইসোলেশন থাকার ব্যবস্থা করা হয়।