আমার অভিভাবক হয়ে উঠা মেজবাহ্ স্যার।

আজ আমার শিশুকালের কথা বলবো বলে কলম হাতে তুলে নিয়েছি। কখন জন্ম নিয়েছি আমি বা আমরা জানিনা। কিন্তু একটু বড় হয়ে আধো আধো স্মৃতি গুলো থেকে আমরা অনেক কিছুই খুঁজে পাই। তবে এতটুকু বুঝেছি আমি বাড়ির সবার খুব আদরের ছিলাম। যার কারণে দস্যিপনা অন্যদের চাইতে একটু বেশি ছিলো। 
আমার সমবয়সী বা কাছাকাছি অধিকাংশ হয় আমার চাচা-ফুফু নয়ত মামা-খালা। তাদের সাথে খেলতে গিয়ে অনেক কথা হয়তো শিখেছি। আমাদের বাড়িতে একটি প্রচলিত গল্প আছে যা আমি এখনো ধরে রেখেছি। আমার বুঝ হওয়ার আমি যখন নিজেই চিন্তা করেছি সবার সাথে আমার যে সম্পর্ক সবই ঠিক আছে কিন্তু একজনের সাথে যে সম্পর্ক আমি তা মিলাতে পারিনা। পরিণত বয়সে মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “মা!  সবার সাথে যে সম্পর্ক তার সাথে একজনের বিষয়টি মিলে না” 
আমার দাদারা চার ভাই, কোনো বোন ছিলো না। আমার দাদা সবার বড়। আমার দাদাদের বউদের আমি “বুয়ে” (দাদি) বলে ডাকতাম। কিন্তু সবার ছোট দাদার বউকে তখন আমি ভাবী বলে ডাকি। উনিও আমাকে দেবরের মতোই স্নেহ করতো। উনার ছেলে-মেয়েরা যদিও বয়সে আমার অনেক বড় কিংবা সমসাময়িক বয়সের৷মাকে করা প্রশ্নের উত্তরে সেদিন বলেছিলেন, ছোটবেলায় আমার খেলার সাথীরা সবাই ছোট দাদার বউকে ভাবী বলতো বলে আমিও নাকি  তাদের দেখাদেখি একদিন নাকি তাকে ভাবী বলেছিলাম, তখন সবাই মিলে আমাকে উপহাস করে বলেছিলো তিনিই আমার ভাবী। সেই যে অবুঝ ভাবী ডাক শুরু হয়েছিলো উনার মৃত্যুকাল অবধি আমি তাকে ভাবী বলেই ডেকে গিয়েছি। উনিও সকলের ছোট বউ ছিলো বলে বলতো, “যাক আমারও একটি দেবর হলো”। আজ প্রচন্ড মনে পড়ে আমার সেই ভাবীকে (দাদী)। যার সাথে আমি “ভালুকা” তার বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। ওপারে ভালো থাকবেন আপনি। যাক যে কথা লিখতে বসেছিলাম তা বলি। আজ দেশের  সমস্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আমার স্মৃতির পাতায় এখনো জ্বলজ্বল করে জীবনের প্রথম স্কুলে যাওয়ার কথা। বাবার হাতটি ধরে যখন স্কুলে গেলাম তখন কি আনন্দ। বাবা দশ পয়সা দিয়ে একটি লাঠি লজেন্স কিনে দিলেন। আমি মনের আনন্দে লাফাতে লাগলাম। যখন শিক্ষক মিলনায়তনে পৌছালাম তখন আব্বাকে দেখেছি প্রধান শিক্ষকের সাথে তুমুল ঝগড়া করছেন। আমি হতভম্ব। প্রধান শিক্ষক মেজবাহ্ স্যার আমাকে কোলে তুলে তার টেবিলে বসায়। আর আমার বাবার সাথে ঝগড়া করে, বলেন “তোমার ছেলেকে স্কুলে নিয়ে এসেছো আমাকে বলোনি কেনো!”। আব্বা বললো, “তোমাকে দিতে আসলাম”। স্যার তো আরো রেগে গেলো, ” দিতে আসলি মানে ওতো আমার ছেলে।” আমিতো ভয়ও পাচ্ছি আবার স্যারের আদরও খাচ্ছি। স্যার আব্বার সাথে কথা বলার আগে খাস্তার বিস্কুট ও চকলেট এনে টেবিলে রেখে দিয়ে বললেন “বাবা তুই খা”। বলেই সে কি তর্ক যুদ্ধ, ছেলে কার। আজও সে যুদ্ধ রয়ে গেছে। তখন বুঝিনি আজ বুঝি দুই বন্ধুর মধ্যে কি পরিমাণ হৃদ্যতা থাকলে এমন হতে পারে। সেই থেকে আমার আরেকজন অভিভাবক হয়ে গেলেন মেজবাহ স্যার৷ আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আজ শুধুই মেজবাহ স্যারের কথা বলবো৷ হয়তো দুই একটি প্রসঙ্গে আসতে পারে৷ প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করে দিয়ে আব্বা আর স্কুলের দিকে ফিরেও তাকান না। আমার যত আবদার স্যারের কাছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি ২য় শ্রেণিতে উঠে গেলাম। স্যার আমার প্রতি আরো সর্তক হলেন। আমাদের স্কুল ঘরটি ছিলো টিন দিয়ে ঘেরা চৌচালা টিনের ঘর, নিচে মাটি। আমরা সকাল নয়টায় স্কুলে আসতাম যদি ক্লাস শুরু হতো দশটায়। বন্ধুরা সবাই মিলে ক্লাস শুরু পূর্বে ফুটবল, সাতচারা, ডাংগুলি,  গোল্লাছুট খেলতাম।কেউ বাধা দিতো না। সাতচারা, কিতকিত খেলে খেলে মাটিতে গর্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টির দিন পানি জমে যেতো। সবচেয়ে মজা হতো ঐ বয়সে আমরা সবাই একসাথে খেলাধুলা করতাম। স্কুল জীবনের সবচেয়ে মজার দিক হলো আমার সাথে যারাই লেখাপড়া করতো বয়সে অধিকাংশই আমার চেয়ে ৪/৫ বছরের বড়। তারা আমাকে খুব আদর করতো। আর উচ্চতায় আমি ছিলাম তাদের চেয়ে খাটো। স্কুলের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় ক্লাস ভিত্তিক টিম করা হতো। তাতে সব সময় আমার চেয়ে বড়দের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হতো। আজ মনে পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একবারই আমি তৃতীয় হয়ে একটি প্লেট পুরষ্কার পেয়েছিলাম।  
স্কুলে ছাত্র হিসেবে খুব ভালো ছিলাম তা আমি বলবো না। কখনো ১ম, ২য় হতে পারিনি। সাধারণত ৩য়, ৪র্থ স্থান নিয়ে একটা রশি টানাটানির মধ্যে থাকতাম। এর জন্য অবশ্যই আমার দাদার অনেকটা দায় ছিলো। কারণ আমার ক্লাসের বন্ধুরা যখন চারু-কারুতে সুন্দর সুন্দর জিনিস এনে জমা দিতো তখন আমার দাদা আমাকে সাথে বসিয়ে আমাকে দিয়ে ছোট ছোট তালপাখা, শলাকার ঝাড়ু তৈরি করতেন এবং নিজ হাতে তৈরি করতে বলতেন। যথারীতি সেগুলো আকারে ছোট হতো। ফলশ্রুতিতে বন্ধুদের বাবা মায়ের হাতে তৈরি বা বাজার থেকে কিনে আনা সুন্দর জিনিসের সাথে পার্থক্যটা তৈরি হয়ে যেতো। আর আমি এই একটি বিষয়ে কম নাম্বার পেয়ে যেতাম। এর ফলে কখনো প্রথম দ্বিতীয় হয়ে উঠা হয়নি। এভাবে ৩য় শ্রেনী পাড় হয়ে ৪র্থ শ্রেনীতে উঠে পড়লাম। এবার মেজবাহ স্যার আমার নিকট স্বরুপে উদয় হলেন। আমার বাবার ভালো বন্ধুটা আমার নিকট মুর্তিমান আতংক হয়ে দাড়ালো। এবার থেকে তিনি আমার সব বিষয়ের শিক্ষক হয়ে উঠলেন। শিক্ষকদের বলে দিলেন আমি কোনো বিষয়ে পড়া না পারলে যেনো তাকে জানানো হয়। প্রথমে আমি বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। কারণ আমি পড়া পারিনি এমন খুব কমই হয়। কিন্তু একদিন আমি কোনো কারণে পড়া পারিনি। কথা মত সেই বিষয়ের শিক্ষক আমার নামে অভিযোগ দিলেন স্যারের কাছে। যথারিতি স্কুল ছুটির পূর্বেই দপ্তরি এসে বলে গেলো ছুটির পর স্যারের সাথে দেখা করতে। স্কুল ছুটির পর স্যারের সাথে দেখা করতে গেলাম। স্যার প্রথমে আমার দিকে তাকালেন। তারপর স্যারের দুপাশের দুই বেঞ্চে যে ছেলে মেয়েরা পড়ছিলো তাদের পাশে বসতে বললেন। আমি বসলাম তারপর দপ্তরি এনে আমাকে বাটারবন, কলা আর পানি খেতে দিয়ে গেলেন। স্যার বললো এগুলা খা। এরপর তোর সাথে কথা বলবো। ভয়ে ভয়ে খাওয়া শেষ করলাম। স্যার এরপর জিজ্ঞেস করলেন ক্লাসে পড়া পারিসনি কেনো? কি উত্তর দিয়েছিলাম মনে নেই। তবে মনে আছে বলেছিলেন ব্যাগ থেকে বই বের কর আর ওদের সাথে বসে পড়। গতকালের সমস্ত পড়া মুখস্ত করবি।মুখস্থ করার পর বাড়ির কাজ করবি, তারপর ছুটি। স্যারের কথার উপর কথা বলার সাহস আমার কখনো ছিলো না। আজও নেই। আমি সমস্ত পড়া শেষ করলাম। আমার দাদা লাঠি হাতে আস্তে আস্তে সন্ধ্যায় স্কুলে আসলেন। স্যার উঠে উনাকে ধরে চেয়ারে বসালেন। অনেক গল্প করলেন। আমার সব লেখাপড়া ও বাড়ির কাজ শেষ করতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলো৷ স্যার বললো, “চাচা, আপনি না আসলে আমি ওকে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসতাম।” দাদা নাতি স্কুল থেকে বাড়ির পথে হাটা ধরলাম৷ হাটতে হাটতে দাদা বললেন এই মানুষটি তোকে অনেক ভালোবাসে অনেক স্নেহ করে। দাদার কিনে দেয়া লাঠি লজেন্স পেয়ে সারাদিনের কষ্ট ভুলে, খেতে খেতে বাড়ি ফিরলাম।  
এখানেই যদি শেষ হতো, তাহলে ভালো হতো নয়তো মন্দ হতো। নাহ, মেজবাহ স্যার আমার পিছু ছাড়লেন না। আমি ভালো ফুটবল খেলি কিনা জানিনা। কিন্তু গায়ের স্কুলের ছেলেদের যে টিম হয় তাতে আমি থাকি। এই আনন্দেই আমি আত্মহারা। স্যার আমাকে আমার ক্লাসের টিমের অধিনায়ক করে দিলেন। বিষয়টা তখন আমি ভালো বুঝিনা। স্যারই সব বুঝিয়ে দিলেন। তারপর যতদিন ৪র্থ বনাম ৫ম শ্রেনীর খেলা হয়েছে ততদিন আমিই দলের দলনেতা৷ পড়ালেখায় যতনা বেশি মন তার চেয়ে বেশি মন খেলাধুলায়। বার্ষিক পরীক্ষাগুলো সবার মনে এক ভয়ানক ভীতি সৃষ্টি করে। আর আমার বেলার আনন্দের কারণ পরীক্ষা শেষ হলেই আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া যাবে তার চেয়ে বড় হলো তখন পড়ালেখার আর কোনো বালাই থাকবে না। শুধু খেলা আর খেলা। হাডুডু, দাড়িয়া বাধা, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন আরো কতো কি। সবচেয়ে ভালো লাগতো মজাপুকুরে কিংবা ডোবায় মাছধরা। 
এভাবেই একদিন ৪র্থ শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণিতে পা রাখলাম৷ ক্লাসের প্রথম দিন মেজবাহ স্যার আমাদের প্রথম থেকে দশম অব্দি দশ জনকে দাড়াতে বললেন। আমরা দাড়ালাম। বললেন, “কাল থেকে ১০টায় এসে সরাসরি শিক্ষক মিলনায়তনে আমার সাথে দেখা করবে”। আমাদের স্কুলের ৩য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ক্লাস হতো ১২টা থেকে। বাড়িতে যেয়ে বললাম। আব্বা শুধু আম্মাকে বললেন ” ওকে দুপুরের খাবারটা টিফিন বক্সে ভরে দিয়ো”। পরদিন বইখাতার সাথে টিফিন বক্স নিয়ে ১০টায় হাজির হলাম স্কুলে। মেজবাহ স্যার তার দু পাশের রক্ষিত দুই সেট বেঞ্চে আমাদের বসতে বলে পঞ্চম শ্রেণির হাজিরা খাতা নিয়ে সবার উপস্থিতি নিয়ে আমাদের পড়ানো শুরু করলেন। পঞ্চম শ্রেনীর শ্রেনী কক্ষে সেই একদিনই ক্লাস করার সুযোগ হয়েছিলো। তারপর টানা একবছর শিক্ষক মিলনায়তন হলো আমাদের ক্লাসরুম। স্যার কোনোদিন ছুটিতে ছিলেন বলে আমার মনে পড়েনা। তবে দাপ্তরিক কাজে গেলে অন্য কোনো শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে যেতেন আমাদের পড়ানোর। আমরা শিক্ষক মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে সেন্টার পরীক্ষায় বসলাম,  সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য জানিনা, সেন্টার পরীক্ষায় আমি আমাদের স্কুল থেকে দ্বিতীয় স্থান দখল করলাম। ফলাফলের পর স্যারের যে সেকি আনন্দ আর আমার দাদা বলেছিলেন সব সময় নিজের কাজ নিজে করা ভালো। আজ আর তোকে কেউ পিছিয়ে দিতে পারেনি। ৫ম শ্রেণী থেকে পাশ করার পর মনে করেছিলাম স্যারের হাত থেকে মুক্তি পাবো। না, স্যারের যত্ন আর সজাগ দৃষ্টি আমার উপর আরো বেড়ে গেলো। সবসময় আমার খোঁজ খবর রাখতেন লেখাপড়া চাকুরী কখন কী করি সব। আজো সেই ছোট ছেলের মত সব খোজ খবর রাখেন। 
একদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (মেজবাহ স্যারের বাড়ির কাছে) আমাকে কতৃপক্ষ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অতিথি করেছিলো। মেজবাহ স্যার অবসরে চলে গেছেন অনেক দিন হলো। আমি বাড়িতে থাকি না বিধায় আমার সাথেও তার দেখা সাক্ষাৎ কম হয়। তো স্কুলের প্রতিযোগিতায় বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে পা ফেলতেই একটি হাত আমায় চেপে ধরলো। আমিতো অবাক, এতো মেজবাহ স্যার৷ মুখে সালাম দিলাম স্যারকে কারণ হাত তুলতে পারছিনা, হাত যে স্যার শক্ত করে ধরে আছেন। তারপর প্রায় এক ঘন্টা স্যার আমার হাত ধরে স্কুলের প্রতিটি জায়গা ঘুরে দেখালেন। তার চেয়ে বড় কথা আমার হাতটি ধরে অনেক কথা বললেন অনেক গল্প করলেন। অনেক সুখ দুঃখ এর গল্প। এলাকার সবার নাম ধরে খোজ খবর নিলেন৷  
আমার মনে হলো চল্লিশ বছর আগে যে হাতটি ধরে আমাকে লেখাপড়ায় হাতে খড়ি দিয়েছিলেন আজো আমাকে সেই একইভাবে আমাকে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। স্যারকে কয়েকবার বলেছি স্যার আমি আজ যেখানে দাড়িয়ে আছি তার জন্য আপনার অনেক অবদান। স্যার শুধু বলেছেন অনেককেই চেয়েছি কেউতো তোর মতো করে আপন করেনি আমাকে। আজ যখন শিশুর মতো স্যারের সানিধ্য আমি উপভোগ করেছি তা আমার জীবনের আরো একটি পাথেয় হয়ে থাকবে। শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে স্যারের চলে আসার সময়কার শেষ কথাটাই “কাজ করলে ভুল হবেই তাই বলে কাজ বন্ধ করে রাখা যাবে না। মানুষ সমালোচনা করবেই সে কথা শুনে পথ চলা বন্ধ করা যাবেনা৷” আরো বললেন, “যে সমালোচনা করে থাকে, সে শুধু সমালোচনা করেই যায়, কাজ করে না ৷ সেই ২৫ বছর আগের কথাগুলো স্যারের মুখে থেকে আবারও শুনে স্যারের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। বলে আসলাম স্যার আপনি ভালো থাকবেন। আমার মেজবাহ স্যার আজো বেঁচে আছেন৷ এখনো কথা হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সে আজো আমার অভিভাবক হয়েই আছেন।
লেখক: উপ-রেজিস্ট্রারমাওলানাভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল।