দারুণ খবর দিলো একদল বিজ্ঞানী। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই ভ্যাকসিন ইনজেকশন (টিকা) হিসেবে নিতে হবে না, বরং ট্যাবলেট হিসেবে খেতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ভ্যাক্সার্টের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. শন টাকার জানান, তার কোম্পানি বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন ট্যাবলেট নিয়ে ট্রায়াল চালাচ্ছে, যা জুলায়েই প্রথম দিকে মানুষের ওপর শুরু করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমার আশা আমরা এবং অন্যান্যরা ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত পরিমাণ উপাদান তৈরি করতে সক্ষম হবো। এ বছরের শেষের দিকে থেকে শুরু করে আগামী বছরের প্রথম দিকের মধ্যে লাল লাখ ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, একটি ভ্যাকসিন সলিউশ্যনের ফলে লকডাউন খোলার সুযোগ হবে এবং মানুষজন আবার বাইরে বের হতে পারবে।’
ডা. টাকার জানান, ভ্যাক্সার্টে বর্তমানে করোনাভাইরাসের বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত ডিএনএ তৈরি করি, যা কোভিড-১৯ এর প্রোটিনগুলো এনকোড করে। আপনি যদি এটি সঠিকভাবে অন্ত্রের মধ্যে পাঠান তাহলে সেই প্রোটিনগুলোর প্রতি শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা পাবেন। যেহেতু এটি ভেজা পৃষ্ঠে মানে অন্ত্রের শ্লেষ্মায় পাঠানো হচ্ছে তাই রক্ত জুড়ে দুর্দান্ত প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া পাবেন, তবে ফুসফুসে সংক্রমণের জায়গায় অ্যান্টিবডি এবং টি কোষগুলোও পাবেন। আর আমাদের ভ্যাকসিন ট্যাবলেট ঠিক এভাবেই কাজ করে থাকে।’
ভ্যাকসিনটি বর্তমানে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে, তবে কয়েক মাসের মধ্যে মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হতে পারে। ডা. টাকার জানান, ‘আমরা যেসব ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছি তার সবগুলোই বোঝার চেষ্টা করছি এবং কোনটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফল ইতিবাচক দেখাচ্ছে। আর ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আমরা উপযুক্ত সমাধান নিয়ে আসতে পারবো।’ সূত্র-ডেইলি মেইল।