ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের নিয়ে আতঙ্কে সুন্দরগঞ্জবাসী

নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের নিয়ে আতঙ্ক সুন্দরগঞ্জবাসী!  প্রবাস ফেরতের পর এখন নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামে আসা মানুষজন। দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে চিহ্নিত করার পর থেকেই গোপনে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানে বসবাস করা শ্রমজীবিরা। কোনোভাবেই তাদের আটকানো যাচ্ছে না। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এখন বেশি আতঙ্ক ও সংক্রামনের ঝুঁকি বাড়িয়েছে এসব মানুষ। এতে সংক্রামিতের ভয় ও আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্থানীয়রা।এদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। কঠোর নজরদারির পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্রবেশ। মোড়ে মোড়ে পুলিশি চেকপোস্ট থাকলেও গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেছেন তারা। তাদের কতজন এলাকায় ফিরেছেন এর সঠিক তথ্য জানা নেই। এমনকি নারায়ণগঞ্জ এলাকার কতজন গ্রামে আছে সেটাও জানেন না প্রশাসন। তবে, এলাকায় ফেরত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গোপনে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস করা শ্রমজীবীরা। কয়েকশত ব্যক্তি এলাকায় ফিরলেও এসব ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। এ পর্যন্ত কতজন ব্যক্তি এলাকায় ফিরেছেন সেটাও নির্দিষ্ট করে জানেন না। লকডাউন উপেক্ষা করে অনেকেই প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে রাতের আধাঁরে ফিরছেন গ্রামের বাড়িতে। গ্রামে ফিরেই হোম কোয়ারেন্টিন না মেনেই অবাদে ঘোরাফেরা করছেন তারা। পাড়ার দোকান ও হাট-বাজার গুলো গিয়ে দিচ্ছেন আড্ডা। সবার সাথে সাক্ষাতে খোঁশ গল্পে মেতে উঠছেন। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেনা কেউ। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রামক বিস্তারে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে চরাঞ্চলে গাঢাকা দেওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। অনেকেই এলাকায় ফিরে পুলিশের ভয়ে চরের আত্মীয়ের বাড়ি অবস্থান করছে। তবে, ঢাকা ফেরতদের তেমন ঝুঁকি না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রামনের ভয়ে আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন স্থানীয়রা।তথ্য মতে, উপজেলার বামনডাঙ্গা, সোনারায়, তারাপুর, বেলকা, দহবন্দ সর্বানন্দ, ধোপাডাঙ্গা, কাপাসিয়া, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, ছাপরহাটি ও পৌরসভাসহ সব ইউনিয়নে প্রতিদিন নতুন করে লোক প্রবেশ করছে। প্রতিদিন শতশত মানুষ গ্রামে আসছেন। তাদের কোনোভাবেই প্রবেশ ঠেকাতে পারছেনা পুলিশ ও প্রশাসন। অনেকেই নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সদলবলে প্রাইভেট কার নিয়ে রাতে আঁধারে বাড়িতে ফিরছেন। সুস্থ ও অসুস্থ ব্যক্তি এলাকায় এসে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবখানে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিলেও অনেকে মানছে না। স্বাভাবিক দিনের মতোই ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের হাট-বাজার ও পাড়ার দোকানগুলোতে। তাদের সতর্ক করে বাড়িতে অবস্থানের অনুরোধ করা হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথা মানছেন না। অপরদিকে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর ধুমাইটারী গ্রামে বেশ কয়েকজন ছেলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেই হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অবাধে ঘোরাফেরা করাই এলাকার লোকজন তাদেরকে বাধা প্রদান করে। এরই জেরধরে গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এলাকার লোকজনদের উপর হামলা করে। পরে জয়নাল আবেদীনের বাড়িঘর ভাংচুর করে তার ছেলে হাফিজুর রহমানকে ঘরের ভিতর থেকে নিয়ে এসে মারপিট করে।
মোঃ হযরত বেল্লালপ্রতিনিধিসুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা।০১৭৫৪-৩২৫৩৮১তারিখঃ ১১/০৪/২০২০খ্রিঃ