জমি বিক্রিতে রাজী না হওয়ায় স্বামী, ছেলে, ছেলের বউ এবং ২ দেবর মিলে পিটিয়ে হত্যা করেছে আনজেরা খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহিনীকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের লক্ষীকোলা গ্রামে। এঘটনায় নিহত গৃহিনীর বোন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যার সাথে যুক্ত ছেলের বউ সাদিয়া খাতুনকে (২৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যরা পলাতক বলে ঈশ্বরদী থানা নিশ্চিত করেছে।
এজাহারের সূত্র ও ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঈশ্বরদী থানার এস আই হালিম জানান, লক্ষিকোলা গ্রামের নিহত গৃহিনী আনজেরার স্বামী ইজিবর ওরফে আজিবর তার ভাইদের কাছে জমি বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এই উদ্যোগের সাথে তার একমাত্র ছেলে রানা (২৭) ও ছেলের বউ সাদিয়াও যুক্ত ছিল। কিন্তু জমি বিক্রি করলে সংসার কিভাবে চলবে এই বিবেচনায় গৃহিনী আনজেরা বাধা প্রদান করে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সকলে মিলে আনজেরাকে বাঁশ ও রড দিয়ে বেদম প্রহার করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলের বই সাদিয়াকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য রবিবার পাবনা পাঠানো হবে। নিহতের বোন আলেয়া বেগম স্বামী, হত্যার সাথে যুক্ত ছেলে, ছেলের বউ ও ২ দেবরকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য প্রচেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।