সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় নিজ লজিংয়ে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন এক মাদরাসাছাত্র। তার নাম হাফিজ নুরুল আমীন ওরফে লাইস মিয়া (২৫)। সে বিশ্বনাথ কামিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষর্থী ও পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত সজ্জাদ আলীর ছেলে। বুধবার মধ্যরাতে সদর ইউনিয়নের পুরান সিরাজপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। তার বুক, পেট ও পায়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে গৃহকর্তা সেলিম মিয়া ও তার কিশোর ছেলে আশফাক আহমদ রাতুলকে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
সরেজমনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ চার বছর ধরে গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ীতে লজিং থাকতো নুরুল আমীন। সম্প্রতি লজিং পরিবর্তনের জন্যে তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের সহায়তা চেয়েছিলো সে। শবে বরাত শেষে ওখান থেকে অন্যত্র চলে যাবার কথা ছিলো তার। গেল মধ্যরাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে বাড়ীর লোকজন বাহিরে এসে দেখেন ঘরে পড়ে আছে নরুল আমীনের রক্তাত দেহ।
সেলিম মিয়ার বৃদ্ধ মা আমীরুন নেছা বলেন, সে অত্যান্ত ভালো মনের ছিলো। চলে যেতে চাইলেও আমরা তাকে থাকতে অনুরোধ করে ছিলাম। কিন্তু গত রাতে হঠাৎ শুনি কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে।
নরুল আমীনের ভাই মঞ্জুরুল আমীন এলাইস মিয়া জানান, হত্যাকান্ডের ধরণ দেখে বুঝা যাচ্ছে, এটি ‘পরিকল্পিত খুন’। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা বলেন, লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পিতা-পুত্রকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে পুলিশ।