সর্দি, কাশি জ্বর ও গলাব্যাথা করোনাভাইরাসের মুল লক্ষণ। বাংলাদেশে এসব লক্ষণ নিয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি রোগ নির্ণয় সংস্থা আইইডিসিআর এর স্বীকৃতি দেয়নি। তাদের কথা নমুনায় এর কোন আলামত নেই। মাত্র ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে এ সংস্থাটি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর; দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ জেলায় ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃতব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করা হলেও বলা হচ্ছে তারা কেউ করোনাভাইরাসে মারা যাননি। করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ঢাকায় একজন স্কুল শিক্ষিকা মাহমুদা বেগমকে চারটি হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
তার মেয়ে চম্পা বেগম সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অবর্ণনীয় কষ্টের কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক উপজেলা থেকে ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার সকালে জানান দেশে আরও ২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত ৫৬ জন। ওদিকে গত কয়েকদিনে করোনাভাইরাসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৮০ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০, ব্রিটেনে ১৬, ইতালিতে ২, কাতার ২, সৌদি আরবে ৩, স্পেনে ১, সুইডেনে ১, লিবিয়ায় ১ এবং গাম্বিয়ায় ১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।