বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে প্রাণ হারালেন যুক্তরাজ্যের সাউথ-লন্ডন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তোয়াহিদ আলী (৭৮)। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুফতির গাঁও গ্রামের মরহুম আকমল আলী চেয়ারম্যানের ছোটভাই ও ‘বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র একজন সিনিয়র ট্রাস্টি।
বুধবার (১ এপ্রিল) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাউথ-লন্ডনের লুইসাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ দেশে-বিদেশে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চোৗধুরী। তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিশ্ববাসীসহ প্রবাসে অবস্থানরত বাঙালিরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। বুধবার সকালে সাউথ-লন্ডন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোয়াহিদ আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় লুইসাম হাসপাতালে মারা গেছেন।
‘বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথের উজান মশলা গ্রামের বাসিন্দা মিছবাহ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ফরেস্টহিল লন্ডনে (সাউথ-লন্ডন) বসবাসকারী প্রবাসী বিশ্বনাথী তোয়াহিদ মিয়া মারা গেছেন। এর আগে মঙ্গলবার একই এলাকায় বসবাসকারী বিশ্বনাথের বাওনপুরের বাসিন্দা মশহুদ আলী (৭৫) নামের আরও এক বিশ্বনাথী মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনায় মারা যাওয়া দু’জনেই আরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের নরউইচ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথের দশপাইকা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোহাব্বত শেখও একইভাবে দেশবাসীর জন্যে দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, সাউথ লন্ডনের সিলেট তান্দুরি রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী তোয়াহিদ আলী ব্রিটিশ আমলে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। বর্তমানে তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে সাউথ-লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত।
বিশ্বনাথের মুফতিরগাঁও গ্রামের তোয়াহিদ আলীর ভাতিজা লুৎফুর রহমান বলেন, তার চাচা তোয়াহিদ আলী লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার বিকেলে লন্ডন থেকে তাদেরকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। এজন্য বুধবার বাদ এশা গ্রামের মসজিদে তারা মিলাদ ও দোয়া পড়িয়েছেন। আর ২০১৬ সালে একবারই কেবল তার চাচা দেশে ফিরেছিলেন বলেও জানান লুৎফুর।
মুফতিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সালিশি ব্যক্তিত্ব ফুলকাছ আলী জানান, জীবনে একবারই তারা তোয়াহিদ আলীকে দেখেছেন। তিনি অত্যন্ত ভদ্র নম্র ও ভালো চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। পারিবারিক হোক, আর গ্রাম কিংবা এলাকার ঝামেলাই হোক তিনি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সবসময় তাগিদ দিতেন। ২০১৬ সালে নিজে দেশে ফিরে সম্পত্তি নিয়ে তাদের পারিবারিক ও গোষ্ঠিগত বিরোধ তিনি নিষ্পত্তি করে গেছেন বলেও জানান তিনি।