পুলিশ টহল ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রচার প্রচারণায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত ব্যস্ততম ঈশ্বরদী শহরের সড়ক-মহাসড়ক, হাটবাজারে জনসমাগম কমেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে, কাজ ছাড়া অযথা ঘোরাফেরা আর আড্ডা না দিতে আহ্বান করছেন পুলিশ সদস্যরা। শহর ছাড়্ওা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। ঘরে থাকা দরিদ্র অসহায় মানুষদের বাড়িতে সরকারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে প্রশাসন। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা বিদেশী ও বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে।
দুপুর ১২টার মধ্যে হাটবাজার শেষ করে ঘরে ফিরছে লোকজন। ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান জানান, ঘরে বন্দি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সরকারি সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি জানান, জেলা প্রশাসন হতে সরকারিভাবে ২০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছিল। সেই বরাদ্দ থেকে চাউলের সাথে শুকনা খাদ্যসামগ্রী কিনে প্যাকেজ দরিদ্র অসহায় মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।
অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশী ও প্রবাসীদের বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করছেন পুলিশ বিভাগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর ও অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ঠিকানা ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাদের ঠিকানা অনুযায়ী পাওয়া গেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঈশ্বরদীতে ১লা মার্চ হতে গত ২০শে মার্চ পর্যন্ত বিদেশী নাগরিকসহ মোট ২৭৭ জনের বিদেশ হতে আগমন ঘটে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, পরে আরো ৫ জন রাশিয়ান নাগরিক ঈশ্বরদীতে এসেছে। আগতদের বেশীরভাগেরই হোম কোয়ারেন্টাইনের সময় পার হয়ে গেছে। আগামী ৪-৫ এপ্রিলের মধ্যে অন্যান্যদের মেয়াদ উত্তির্ণ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।