ইয়ানূর রহমান : যশোরে ‘নভেল করোনা ভাইরাস’ পরীক্ষার কিট নেই। সন্দেহজনক রোগী এলেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
যশোর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকার বাইরে কোনো জেলায় করোনার ভাইরাসের চিকিৎসা ও পরীক্ষার সুযোগ নেই। কিটের চাহিদাপত্র পাঠানোর বিষয়ে এখানো কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
তবে অনেকে বলছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা না হওয়ায় শয্যা প্রস্তুত করে কি লাভ? ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যশোরে করোনা নিয়ে কতটা প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে প্রচন্ড জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও কাশি নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসেন মাগুরার শালিখা উপজেলার এক যুবক (৩৮)। এ সময় রোগীর ব্যাখ্যা ও শারীরিক অবস্থা দেখে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক দোলোয়ার হোসেন তাকে বলেন ‘করোনা পরীক্ষার জন্য যশোরের কোনো হাসপাতালে কিট নেই। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আপনি ঢাকায় যোগাযোগ করেন।’
ঙাঙাঙাসূত্র জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যাসহ জেলার প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে।
রোগী সনাক্তের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শালিখার ওই রোগীর স্বজনরা বলেছে ‘আলাদা ইউনিটে যারা থাকবে তাদের চিনবে কিভাবে?’
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, করোনা ভাইরাসে সন্দেহজনক রোগী মিললে প্রথমে তাকে নির্দিষ্ট ইউনিটে পাঠানো হবে। চিকিৎসকরা রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। পরীক্ষার নিরীক্ষার প্রয়োজন মনে হলে আইইডিসিআরকে জানানো হবে। তারাই রোগীর রক্ত সংগ্রহ করে করোনার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। করোনার প্রাথমিক চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
তিনি আরো বলেন, আইইডিসিআর পরিচালক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সম্পর্কে দিকনির্দেশা দিয়েছেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন জানিয়েছেন, ঢাকার বাইরে কোনো জেলায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট সরবরাহ নেই। আইইডিসিআরের নির্দেশনা ও প্রয়োজন মনে হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কিটের চাহিদাপত্র পাঠাবো। যশোরে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী মেলেনি। সন্দেহজনক কোন রোগীর সন্ধান পেলে আইইডিসিআরে তথ্য পাঠানো হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করবে আইইডিসিআর।
তিনি আরো বলেন করোনা সন্দেহে যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের কারো শরীরে করোনার ভাইরাস নেই। কতজন কোয়ারেন্টাইনে আছে এমন প্রশ্নে সংখ্যা প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন তারা সবাই ভালো আছেন ৷