দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মসূচি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। তবে কর্মসূচি শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পুলিশি বাধায় তাদের কর্মসূচি প- হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেছিল রাবি শাখার এই দলটি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দাবি, তারা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে সেই অনুমতি দেয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সাক্ষাতই হয়নি।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দলটির অর্ধশত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ব্যানার হাতে মানববন্ধন শুরু করেন। এতে দলটির রাবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাহী, মীর তারিক বিন খালিদ, মো. রাশেদ আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন দলটির রাবি শাখার আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানিন চৌধুরী।
এতে প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে বিধায় দেশের মানুষের কাছে তাদের কোনো কৈফিয়ত দিতে হয় না। সরকার ইচ্ছামত গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এজন্য দেশের সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্যায়ভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাঁর বক্তব্য চলাকালীন পুলিশ এসে সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদকে পাশে ডেকে নিয়ে কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে কর্মসূচি শেষ না করেই নেতাকর্মীরা চলে যান।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাদেরকে কর্মসূচি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।’
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানিন চৌধুরী বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার অনুমতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেয়নি। আজকে (গতকাল) পুলিশ আমাদের কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা দলের উর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
এবিষয়ে শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাহী জানান, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। আমাদের অধিকার আছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে পুশিল আমাদের কর্মসূচিতে বারবার বাধা দিচ্ছে। যতই বাধা-বিপত্তি আসুক আমরা রাজপথে থাকবো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎই হয়নি। কাজেই অনুমতির ব্যাপারেও কোনো কথা হয়নি।