রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল এন্ড কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক দুরুল হুদাকে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাময়িক ভাবে বরখাস্তকরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীর নিজ বাড়িতে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানুর মেয়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা অধ্যাপক বানু নিজে বাদী হয়ে মহিতার থানায় দুরুল হুদার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০ অক্টোবর মতিহার থানা পুলিশ অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কাজলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর আসামী হাইকোর্ট থেকে কারামক্তি পেয়ে পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে দীর্ঘ দুই মাস কারাগারে থাকলেও আসামির বিরুদ্ধে চাকরিবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালককে অবহিত করা হলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আশ্বাস দিয়ে কাল ক্ষেপন করেন। পরবর্তীতে, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা জারি করা হয় ।
বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি নিজেকে নির্দেশ প্রমাণ করতে পারলে তার নিজ পদে ফিরতে পারবেন। তবে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী তার জীবিকা নির্বাহের ভাতা অব্যাহত থাকবেন বলে জানান তিনি।