নাটোরের গুরুদাসপুরে বিভিন্ন জাতের কুল আবাদ হলেও কাশ্মীরি বলসন্দুরী,সুন্দরী,লেট ও লাল এই চার জাতের কুল আবাদ করে সবার নজর কেড়েছে উপজেলার বিন্নাবাড়ীর গ্রামের মা নার্সারীর শরীফুল ইসলাম। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় এই চার জাতের ফলনও বা¤পার হয়েছে। আকারে আপেলের মত হলেও দেখতে বিভিন্ন রংয়ের হওয়ায় এবং অন্যান্য কুলের চেয়ে খেতে আরও সুস্বাদু , প্রতিদিন এই বাগানে কুল ক্রয় করতে বিভিন্ন জেলার প্রাইকারী মহাজন ছাড়াও ভিন্ন জাতের কুল বাগান দেখতে দূরদূরান্তর থেকে কুল চাষী ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগিয়েছে,- এবার গুরুদাসপুর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ৪০টি কুলের বাগান গড়ে উঠেছে। অনেকে আবার বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন কুলের বাগান। ৬৫০ মেট্রিক টন কুলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কাশ্মীরি, নারকেলি ও চায়না, থাই, বাউ ও আপেল জাতের কুলের আবাদ হয়েছে। তবে কাশ্মীরি চার জাতের কুলের বানিজ্যিক চাষ এলাকায় নতুন। ভিন্ন জাতের কুল বাগান ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন রংয়ের কাশ্মীরি চার জাতের কুল রয়েছে বাগানে। ওজন সইতে না পেরে ডালাপালাগুলো মাটি ছুঁই ছুই অবস্থা।
কুল বাগানের শ্রমিকরা পরিপক্ক কুলগুলো গাছ থেকে সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কুল চাষী মালিকগণ গত বছরের শ্রমিক মূল্য ৩০০টাকা থেকে এবছর ৫০টাকা বৃদ্ধি করায় খুশি শ্রমিকরা।শ্রমিকরা বলেন আমরা কুল মৌসুমে তিন মাস কুল বাগানে কাজ করি,আনন্দের সহিত কুলের সাথে মিশে থেকে কাজ করি। কুল চাষী মালিকগণ আমাদের খুব ভাল।
দর্শনার্থীরা ভিন্ন জাতের কুল বাগান দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই জাতের কুল আগে কখনও দেখি নাই,এবছরে নতুন কাশ্মীরি চার জাতের কুল দেখে খুব ভাল লাগছে।ভিন্ন জাতের কাশ্মীরি চার জাতের কুল চাষী শরীফুল ইসলাম বলেন,গুরুদাসপুরে অনেক কুল চাষ আছে। কিন্ত এক মাত্র আমার জমিতে কাশ্মীরি চার জাতের কুল আছে। কৃষি কর্মকর্তার বুদ্ধি পরামর্শ ও সহািেগতায় ফলনও ভাল হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে ২লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি ৩লক্ষ টাকা কুল বিক্রি হবে।
আমার এই কুল বাগান দেখে এলাকার আনেকের মধ্যে আগ্রহ হয়েছে আগামীতে তারা এই ধরনের কুল বাগান করবে। শরিফুলের ছোট ভাই ও বড় ভাই বলেন, আমার ভাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাগানে আসেন আমরাও সাথে আসি। খুব ভাল লাগে বাগান দেখে। নিবিড় যন্তসহকারে এই কুল চাষ করা হয়েছে। বেড়গঙ্গারামপুর আড়তে গিয়ে দেখা গেছে- জাত, আকার ও আকৃতি ভেদে প্রতিমন কুল তিন হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। কমপক্ষে পাঁচজন আড়ৎদার জানান এ মোকাম থেকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক কুল ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ মোকাম চলবে।