নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় জনশুমারি ও গৃহগণনা লিস্টিং অপারেশন তালিকাকারী/গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে ওই পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো. কাউছার, মো. আজিজুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান ও আল মুবিন সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়।
লিখিত অভিযোগ ও পরিসংখ্যান কাযালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কলমাকান্দা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় জনশুমারি ও গৃহগণনা লিস্টিং অপারেশন তালিকাকারী/গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় সুপারভাইজার পদে ১১৭ ও তালিকাকারী পদে ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আবিদ হাসান ও মাসুদ পারভেজকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৭ ও ১৪ মিনিটের মধ্যে বহিস্কার করা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় থেকে ওই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণদের তালিকায় বহিস্কারকৃত দুই ব্যক্তিরও নাম রয়েছে। তাছাড়া কোন সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওতে কাজ করেন এমন কোন লোক আবেদন করা যাবে না বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকলেও লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীনদের তালিকায় তথ্যসেবা কেন্দ্রে কর্মরত, এনজিও কর্মী, কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষক ও পর্যবেক্ষক মো. আলী উসমান বলেন, ওই পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দেখাদেখি ও কথাবলার জন্য ইউএনও স্যারের নির্দেশে ৬ জনের খাতা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পূর্বেই টেনে নেয়া হয়। তাদেরকে আর লেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে ইএনও স্যারের নির্দেশে খাতাগুলো দেখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন অভিযোগের কথা শুনেছি, আমি তো কাউকেই বহিস্কার করি নাই। তবে খাতা নিয়ে নিয়েছি। এটির চূড়ান্ত তালিকা হবে আরো যাচাই বাছাই করে মৌখিক পরীক্ষার পরে।