মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আরও কতদিন বাঁশের সাঁেকা দিয়ে পারাপার করতে হবে জানে না এলাকাবাসি। বন্যার সময় নৌকায়, খরার সময় বাঁশের সাঁকোয় অথবা হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে চরবাসিকে চলাচল করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। অথচ আজও চরাঞ্চলের কমপক্ষে ৫০টি স্থায়ী নালা বা শাখা নদীর উপর কোন সেতু নির্মাণ করা হয়নি। সে কারণে বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা কষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে এখন অসংখ্য নালা ও শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে। অনেক শাখা নদী এখন স্থায়ী হয়ে গেছে। তিস্তার ¯্রােতে ওইসব নালা ও শাখানদী ভাঙনের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ওইসব শাখানদী ও নালায় সেতু নির্মাণের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সে কারণে দিনের পর দিন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে পথচারি ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও এলাকাবাসির ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিবছর নির্মাণ করা হয় ওইসব সাঁকো। কথা হয় উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, তার ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে । প্রতিবছর বন্যা পরবর্তি সাঁকো নির্মাণ করে দিতে হয় এলাকাবাসির চলাচলের জন্য। তিনি মনে করেন যে সমস্ত নালা বা শাখানদী স্থায়ী হয়ে গেছে, সেখানে সেতু নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। বেলকা চরের শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করা অত্যন্ত কষ্ট এবং ঝুঁকিপুর্ণ। ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে মালামাল বহন করা যায় না। সে কারণে দ্বিগুন মজুরি দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি বা নৌকা যোগে মালামাল পার করতে হয়। এত করে খরচ বেশি হয় এমনকি লোকসান গুনতে হয়। এছাড়া সময়ও বেশি লাগে। উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, চরাঞ্চলে সেতু নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় করে থাকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।