কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুড়া ইউনিয়নের গৌরীপুর সেতু সংলগ্ন থেকে তারানগর পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য কাঁচা সড়কের নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে লেংগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া এলাকার প্রায় তিনশত লোকজন নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ওই সড়কের নির্মান কাজ শুরু করেন।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের গৌরীপুর সেতু থেকে তারানগর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কে ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়াসহ এলাকার প্রায় তিনশতাধিক নারী-পুরুষ সেচ্ছাশ্রমে ওই সড়কের নির্মাণ কাজ করেছেন। এসময় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতার পর এই সড়কে একবার বেসরকারি সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ কিছু মাটির কাজ করেছিল। এরপর থেকে এই পর্যন্ত ওই সড়কে কোন কাজ করা হয়নি। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের ৫-৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোকজন পাঁয়ে হেঁটে এই সড়কে চলাফেরা করছে। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। তাছাড়া স্কুলে পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধরা ওই ভাঙা সড়কে চলাফেরা করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
গৌরীপুর গ্রামের মো. শামসুল খাঁ আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর কোন সরকারই এ গ্রামীন সড়কটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ওই সড়কে পায়ে হেঁটে চলাফেরা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
কলেজ পড়–য়া মো. নুর জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এ গ্রামে প্রায় দশ হাজার লোকের বসবাস। সড়কের কারণে অনেক কষ্ট করে চলাফেরা করতে হচ্ছে আমাদের। তাছাড়া সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন গর্ভবতী মায়েরা। আজ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ও বিভিন্ন এনজিও সংগঠনের সমিতির সহযোগিতায় এলাকার প্রায় তিনশতাধিক লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের নির্মাণ কাজ করেছেন ।
সাবেক ইউপি সদস্য কুমকুম নকরেক বলেন, আমাদের এই সড়ক এতোদিন সংস্কারের অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু সংস্কার হয়নি। তা আমরা স্বেচ্ছাশ্রমেই সড়কের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে লেংগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ওই এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গৌরীপুর থেকে তারানগর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। আশা করছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যেই এ কাজ সমাপ্ত হবে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।