চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি ঃ গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যহত শৈত্য প্রবাহের কারনে শীতার্থ মানুষের কষ্ট অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি ও উদ্বাস্তু মানুষগুলো প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে পোহাচ্ছে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে। উত্তরের অন্যতম জেলা পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এই তীব্র শীতে এখন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক, সামাজিক, এনজিও প্রতিষ্ঠান এমনকি উপজেলা প্রশাসন থেকে শীত বস্ত্র বিতরনের খবর মেলেনি। প্রতি বছর এই সময়ে উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের বৃত্তবানরা শীতার্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকলেও এ বছরে রহস্যজনক ভাবে কেউই এই জনহিতকর কাজটি করছেন না কিংবা শীতার্থ মানুষের পাশে থাকছেন না।
চাটমোহর রেলস্টেশন এলাকার শীতার্থ মানুষ হযরত আলী জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রচগু শীতে কষ্ট করছি। একটি সোয়েটার আর একটি পুরাতন চাঁদরই আমার ভরসা। রাতে ঘুমানোর সময় একটি পুরাতন কাথা শরীরের উপড় দিয়ে ঘুমাই। তবে যে শীত পড়ছে তাতে এই কাপড়ে শীত যায়না। প্রতি বছর একটি করে শীতের কাপড় পেলেও এ বছর কেউ শীতের কাপড় দিতে এলো না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি কে,এম বেলাল হোসেন বলেন, তীব্র এই শীতে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক সচেতন সামর্থবান নাগরিকের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভোটের মৌসুম না হওয়ায় রাজনৈতিক নেতারা হয়তো এবছর শীতার্থ মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেনা। আবার অতিথি পাখির মত কিছু নেতারা বিশেষ সময়ে আগমন করে শীত বস্ত্র বিতরন করে চলে যাবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অসহায়, শীতার্থ, দুস্থ মানুষ খুঁজে বের করে সরকারি সহায়তার গরম কাপড় বিতরন করা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, গত কয়েকদিনের তীব্র শীতের কারনে মানুষের একটু দূর্ভোগ বেড়েছে। ইতিমধ্যে শীতার্থ মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসন থেকে উপজেলার প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিকট ৪৫০টি করে কম্বল পৌছে দেওয়া হয়েছে এবং সেটা বিতরত করাও শুরু হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শীত বস্ত্র বিতরন করা হবে।